পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত নেতা
যশোরে পুলিশের হেফাজত থেকে দুই আসামী পালিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তাদের একজন বিএনপি এবং অপরজন জামায়াতের নেতা।
শার্শা থেকে যশোর আসার পথে ঝিকরগাছার গাজীর দরগাহ ও নতুনহাট এলাকার মধ্যবর্তী স্থান থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা পালিয়ে যান। এর আগে, বুধবার শার্শা থেকে দু’জনকে আটক করে পুলিশ।
আসামী পালানোর ঘটনায় তিন পুলিশকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় মামলাও করা হয়েছে।
যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান জানান, বুধবার শার্শা থেকে আটক হয় আবদুল মজিদ ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তি। তারা সাতক্ষীরার বাসিন্দা। আবদুল মজিদ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাতক্ষীরা পৌর শাখার সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির সদস্য। আর শহিদুল ইসলাম ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক ক্যাডার। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত। শহিদুল ইসলাম সাতক্ষীরা ও কলারোয়া থানায় হত্যা, নাশকতাসহ পাঁচটি মামলার আসামী।
এসপি আরও জানান, যেহেতু যশোরের কোনো থানায় ওই দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা নেই। তাই পুলিশ তাদের দণ্ডবিধি ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে আনছিল। পথে ঝিকরগাছার গাজীর দরগাহ এলাকা থেকে তারা পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ ভ্যানে আনা হলে তারা পালানোর সুযোগ পেত না। গাড়ি সংকটের কারণে মাহেন্দ্র রিকুইজিশন করে তাদের যশোর আদালতে আনা হচ্ছিল।
আসামী পালানোর ঘটনায় এক উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও দুই কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলাও করা হয়েছে বলে জানান এসপি।
তবে আটক আবদুল মজিদের ভগ্নিপতি আবুল কালাম আজাদ ইকতিয়ার বলেন, শার্শা থানা থেকে একটি মাহেন্দ্র গাড়িতে তুলে দেওয়া হয় দু’জনকে। পুলিশসহ মাহেন্দ্রটি যশোর শহরের শেষ মাথায় আসা পর্যন্ত আমি হোন্ডায় (মোটরসাইকেল) চড়ে এটির সঙ্গে সঙ্গে এসেছি। এরপর গাড়ির ভিড়ে আমি পেছনে পড়ে যায়। পরে থানায় এসে খোঁজ নিতে গেলে আমাকে জানানো হয় আবদুল মজিদ ও শহীদুল ইসলাম পালিয়ে গেছে। বলা হয়, গাজীর দরগাহ ও নতুনহাটের মাঝামাঝি স্থান থেকে তারা পালিয়েছে। কিন্তু আমি নিজে হোন্ডায় চড়ে ওই এলাকা পেরিয়ে যশোর শহর পর্যন্ত মাহেন্দ্র গাড়িটিকে ফলো করে এসেছি। তারা ওই স্থানে পালায়নি। এখন আসলে কি ঘটেছে আমি বুঝতে পারছি না।