ইইউ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে তিন এমপির বৈঠক
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরো মায়াদুর বাসভবনে বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের তিনজন সদস্য বৈঠক করেন। এ সময় কানাডাসহ আরো একটি দেশের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দুইজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক ও সাবেক মন্ত্রী যথাক্রমে আব্দুল মতিন খসরু এমপি, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি ও জাতীয় পার্টির চিফ হুইপ অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরো মায়াদুর সঙ্গে তার বাসভবনে বৈঠক করেন।
আব্দুল মতিন খসরু বৈঠক প্রসঙ্গে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘সরকার ফরেন ডোনেশন অ্যাক্ট সংশোধন বিষয়ে কাজ করছে। এ জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরো মায়াদুর আমাদের ডেকে বিষয়টি জানতে চান। আমরা বলেছি, এই বিলটি এখনো পাস হয়নি।’
চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সহিংসতা নিয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আব্দুল মতিন খসরু বলেন, ‘সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নিরীহ জনগণের প্রাণহানি, হামলা, আক্রমণ, পেট্রোলবোমাসহ সহিংসতার ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা এগুলোর নিন্দা জানিয়েছে।’
রাজনৈতিক সমাঝোতার বিষয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে ওনারা কী বলবে। ওনাদের বলার কোনো অধিকার আছে নাকি।’
সমঝোতার বিষয়ে কিছুই কি বলেননি? জানতে চাইলে আব্দুল মতিন খসরু বলেন, ‘তারা বলেছে, এটা আপনাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আপনারা সমাধান করুন।’ এই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে চলমান সহিংসতা সম্পর্কে গত ১৪ জানুয়ারি গণমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পাশাপাশি সবগুলো রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার আহবান জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ প্রধান ও রাষ্ট্রদূত পিয়েরি মায়াডন গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বার্তায় বলেন, ‘চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থায় গণতন্ত্রের চর্চা সঙ্কুচিত হচ্ছে। সমাবেশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করে, মানুষের চলাচল ও বাক স্বাধীনতা হরণের বিপরীতে কখনো শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং সহিংসতায় অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে, অনেকে আহত হচ্ছেন এবং সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জানুয়ারি সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ রহমানের উপর ভয়ঙ্কর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ১৪ জানুয়ারি রংপুরের একটি যাত্রীবাহী বাসেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়গুলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’