রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসার আহ্বান যুক্তরাজ্যের
রাজনৈতিক অচলাবস্থায় চলমান সহিংস ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন আবারও দুঃখ এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি সহিংসতা এবং ভাঙ্গণের বৃত্ত ভাঙতে তিনি রাজনৈতিক দলের নেতাদের একসঙ্গে বসার আহ্বান জানান।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘নিরীহ মানুষের প্রাণ হারানো, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত এবং অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে’ উল্লেখ করে সবগুলো রাজনৈতিক দলকে এমন কার্যক্রমে উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে অথবা এমন ধরনের সহিংস কার্যক্রমরোধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকায় অবস্থিত দেশটির দূতাবাস থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় গিবসন এই আহ্বান জানান।
গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বলেন, ‘বাংলাদেশের চলমান সহিংস ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০-এরও অধিক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আরও এক শ’রও বেশি মানুষ ভয়ঙ্করভাবে আহত হয়েছে। যা আমাকে গভীরভাবে দুঃখিত করেছে। বর্তমান ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিদিনই অর্থনীতির চাকা নেতিবাচক দিকে যাচ্ছে।’
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন আরও বলেন, ‘এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য সবগুলো রাজনৈতিক দলকে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা উচিত, যাতে এমন ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না হয়। অথবা সবগুলো দলকে সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড দমনে অঙ্গীকার করা উচিত। সর্বশেষ কুমিল্লার ঘটনাটিই সাক্ষী দেয় যে, নিরীহ মানুষ কীভাবে সহিংসতা শিকার হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আমি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষে সবাইকে আমি আহ্বান জানাব যে, সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে সবাই সংযম প্রদর্শন করুন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। সহিংসতা এবং ভাঙ্গণের বৃত্ত ভাঙতে সবাই একসঙ্গে কাজ করুন।’
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি চলমান সহিংস ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন দুঃখ এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশে রবার্ট গিবসন বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ সব অপরাধের যথাযথ তদন্তের এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি। যুক্তরাজ্য সকল পক্ষকে সংযত থাকা, পরিমিতিবোধের চর্চা, আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং সহিংসতা ও স্বাভাবিক জীনবযাত্রায় বিঘ্ন সৃষ্টির এই পুনরাবৃত্তি থেকে নিষ্কৃতি পেতে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে আসছে।’