এলাকাবিমুখ এমপিরা : বৈঠকে ক্ষোভ
সরকার দলীয় ও জোটের সংসদ সদস্যরা (এমপি) নির্বাচনী এলাকায় না যাওয়ায় ১৪ দলের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও সকল নির্বাচনী এলাকায় সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি না হওয়ায় অনেকেই জোটের সমালোচনা করেছেন।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুর ও সন্ধ্যায় ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক সংগঠন, ঢাকার সংসদ সদস্য, আলেম-ওলামা ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের বৈঠকে এ ক্ষোভ জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকে উপস্থিত থাকা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এমপিরা যদি ঢাকায় থাকেন তাহলে তো দুর্বৃত্তরা সাহস পাবেই। এমপিরা এলাকায় গিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গঠন করলে পেট্রোলবোমা হামলা আর হবে না। তা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। কিন্তু এমপিদের এলাকাবিমুখ হওয়া দুঃখজনক।’
বৈঠকে উপস্থিত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের নাশকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। কিন্তু এমপিরা এলাকায় যাচ্ছেন না। দলীয় নীতিনির্ধারকদের আমরা দাবি জানিয়েছি, তারা যেন এমপিদের এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেন।’
বৈঠকে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা নেতারাও এমপিদের এলাকায় যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
এ ছাড়া সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আলেম-ওলামা, পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠকেও যুবলীগের একজন নেতা এমপিদের এলাকাবিমুখ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এমপিরা এলাকায় গেলে এত মানুষ পুড়ে মরত না।’
বৈঠকে ৮ ফেব্রুয়ারি ১৪ দলের মানববন্ধন কর্মসূচির সময় ও রুট নির্ধারণ করা হয়। নেতাকর্মীদের ঢাকার বিভিন্ন স্পট বণ্টন করে দেওয়া হয়। মানববন্ধন বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন- নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, অভিনেত্রী শমী কায়সার। উপস্থিত ছিলেন ওলামা লীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।