‘জঙ্গীদের কাছে নতি স্বীকার করব না’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাঙালি অপরাজেয়। অন্যায়ের কাছে কখনো পরাজয় মানেনি। এবারও তারা পরাভূত হবে না। জঙ্গীদের কাছে আমরা কখনো নতি স্বীকার করব না।’তিনি বলেন, ‘হরতাল ও অবরোধের নামে এ হিংস্র হায়েনাদের দেশব্যাপী মানুষ হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আমরা রুখবই। সন্ত্রাসের হোতাদের পরাজিত করেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাআল্লাহ।’
রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক রোটারী শান্তি সম্মেলন-২০১৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণকালে তিনি এ সব কথা বলেন। রোটারী ক্লাব ঢাকা মহানগর আয়োজিত এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন রোটারী ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত কে আর রবিনদ্রন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বাঙালি জাতি কখনই উৎপীড়কদের কাছে মাথা নত করেনি। ১৯৫২ সালে রক্তের বিনিময়ে বাঙালি মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছে, ১৯৬৯ সালে নিপীড়ক স্বৈরাচারী আয়ুব সরকারের পতন ঘটিয়েছে, ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা মাতৃভূমির স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষতি কাটিয়ে দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন তারা আবারও একাত্তরের কায়দায় মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যুদ্ধাপরাধী ও সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ছুটছে।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, ‘রাজনীতি কার জন্য? রাজনীতি তো সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। কিন্তু নিরীহ মানুষকে এভাবে হত্যা করে কি অর্জন করতে চায় বিএনপি-জামায়াত।’
তিনি বলেন, তারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এটা তাদের ভুল। তাদের এ ভুলের খেসারত জনগণকে দিতে হবে কেন?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘাতকদের পেট্রোল বোমা হামলায় প্রায় ৫৫ জন পুড়ে মারা গেছেন। কয়েকশ মানুষ হাসপাতালের বেডে অমানুষিক নরক যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছেন। পোড়া মানুষের গন্ধে বার্ণ ইউনিটের বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ সব অমানবিক কাজ কারা করছে তা দেশবাসী জানেন। রাজনীতির নামে সাধারণ মানুষকে এ ভাবে পুড়ে মারার মতো নৃশংসতা এ দেশের মানুষ আগে আর কখনো দেখেনি।’
রোটারী ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩২৮১’র জেলা গভর্নর সাফিনা রহমান, একই সংগঠনের ৩২৮২’র জেলা গভর্নর প্রকৌশলী এম এ লতিফ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং এতে সম্মেলনের সভাপতি আফতাবুল ইসলাম স্বাগত বক্তৃতা দেন ও ঢাকা মহানগর রোটারী ক্লাবের সভাপতি নিয়াজ রহিম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ ছাড়াও বিদায়ী গভর্নর এম আউয়াল ইনভোকেশন পাঠ করেন।