‘রাষ্ট্রপতিকে সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে’ : সুজন সম্পাদক

bodiaসুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সংলাপ হতে হবে। সংলাপের পরিবেশ নেই। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতিকেই এগিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রপতির সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটি আছে। শুধু দুই দলের সঙ্গে নয় বৃহত্তর পরিসরে সংলাপের আয়োজন করতে হবে।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত ‘জাতীয় সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ সব কথা বলেন।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, উস্কানিমূলক বক্তব্য সমস্যা আরও বাড়াবে। সমস্যার গভীরে যেতে হবে। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। গত ৫ জানুয়ারি আমরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এই বঞ্চিত হওয়ার জন্য এই দুই দলই দায়ী। আমরা নষ্ট রাজনীতির শিকার হচ্ছি।
তিনি বলেন, ৩টি বিষয়ে আমাদের ঐক্যমত হতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকার কী ধরনের হবে? নির্বাচনকালীন আইন-কানুন-বিধি-বিধান ঢেলে সাজাতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমেই যারা আসুক তাদের কতগুলো সংস্কার করতে হবে। নতুন সামাজিক চুক্তি গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় সনদ তৈরী করে সবাইকে স্বাক্ষর করতে হবে। রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নেবেন, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথ বের হবে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমার মনে হয় মৃত্যুর মিছিল চলছে। আজ সকালেও বরিশালে পেট্রোলবোমায় কয়েকজন মারা গেছে। যারা এগুলো করছে তারা নিঃসন্দেহে অপরাধী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি প্রদান করতে হবে। অপরদিকে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে সমস্যার সমাধান করা যবে না। সহিংসতা দমন করতে যে সহিংস ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এটা কখনো সমাধান হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। বর্তমান সংকটের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক সমস্যা। এটা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। এটা সহিংসভাবে সমাধান হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের অভিভাবক রাষ্ট্রপতিকে এগিয়ে আসতে হবে। তার হাতে সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটি আছে। এটার প্রয়োগ করে স্থায়ী সমাধানের দিকে যেতে হবে।
সুজন সম্পাদক বলেন, ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি সংলাপ আহ্বান করা দরকার। এ সংলাপের বিষয় হবে নির্বাচনকালীন সময়ে কী ধরনের সরকার হবে। আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলছি না। এটা হবে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সরকার, যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। এরপর নির্বাচনকালীন সরকারের জন্য আইনকানুনের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এ ছাড়া, নির্বাচনের পরে যারাই ক্ষমতায় আসবে তাদেরকে কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে হবে। সংবিধানের যেখানে অসংগতি আছে সেখানে পরিবর্তন করতে হবে।
ড. শাহদীন মালিকের সঞ্চালনায় গোলটেবিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, প্রযুক্তিবিদ হাবিবুল্লাহ করিম, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান প্রমুখ।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend