প্রতি বছর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের জনপ্রিয় ফুটবল খেলার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে প্রতি বছর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে জয়ী হবে।’
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তৃতীয় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল খেলা শেষে ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘কেউ ভাবতে পারেনি বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠবে। ফাইনাল খেলায় বাংলাদেশ চমৎকার খেলেছে এবং ২টি গোল করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এখন থেকে প্রতি বছর এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে এবং আমরা আশা করি, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে এই ট্রফি জয় করবে। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছি।’ তিনি বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দেরকে ভবিষ্যতে সেই লক্ষ্য নিয়ে খেলার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের মাধ্যমে ফুটবল এদেশে নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমি আশা করি, বাংলাদেশের ফুটবল সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে এবং বিশ্ব জয় করবে।’
ফাইনালে চমৎকার খেলার জন্য বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘খেলায় জয়-পরাজয় আছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আরো এগিয়ে যাবে।’
টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মালয়েশিয়া দলকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ ট্রফি জয় করেছে। সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী সংগঠক, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পরে প্রধানমন্ত্রী মালয়েশীয় ও বাংলাদেশ দলের কাছে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ ট্রফি হস্তান্তর করেছেন। তিনি উভয় দলের খেলোয়াড়, কোচ ও অন্যান্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত মেডেলও দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, যুব ও ক্রীড়া উপ-মন্ত্রী আরিফ খান জয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন এবং বিএফএফ-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্টেডিয়ামে ভিআইপি গ্যালারিতে বসে ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেছেন। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের করতালি দিয়ে উৎসাহিত করেছেন। হয়তো তিনিও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশায় বুক বাঁধছিলেন। হয়তো তিনিও প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন-প্রত্যাশা নিয়ে লাল ও সবুজ রংয়ের শাড়ি পড়ে ৬টা ২৬ মিনিটে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছেন।