বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করবে সুইডেন
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিসেল রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রবিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য জানা গেছে।
সাক্ষাৎকালে সুইডিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণে তার দেশের সরকার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত আগ্রহী। তারা বাংলাদেশী পণ্য সুইডেনে আমদানির পাশাপাশি কিছু পণ্য যেমন আসবাবপত্র, হস্তশিল্প ইত্যাদি এই দেশে উৎপাদনেও আগ্রহী।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমে বিপুল পরিমাণ দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন এবং এ জনশক্তির দক্ষতা ও কারিগরি জ্ঞান বৃদ্ধিতে সুইডেন বাংলাদেশকে সহায়তা দিবে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অভূতপূর্ব অগ্রগতির প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত ফ্রিসেল এ দেশের স্বাস্থ্য খাতেও সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, পানি পরিশোধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সুইডেনের কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত বৈঠকে জানান। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থসামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সফলতা অর্জন করেছে সুইডিশ রাষ্ট্রদূত সে সবের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এ দেশের অর্থনীতিতে যে অপ্রতিরোধ্য গতি সঞ্চার করেছে তার জন্য প্রয়োজন স্থিতিশীলতা। সুইডিশ রাষ্ট্রদূত খুব শিগগিরই চলমান ধ্বংসাত্মক অবরোধ কর্মসূচির অবসান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ৪৪ বছর ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও গণমানুষের কল্যাণে সুইডেনের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূত এবং তার মাধ্যমে সুইডিশ সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান। তিনি রাষ্ট্রদূতকে তার কর্মকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে রবিবার পৃথকভাবে সাক্ষাত করেন কানাডার হাইকমিশনার বিন পিরে লারাম, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মেরি ল্যান্ডমো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরো মায়াদু। সাক্ষাতে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা পররাষ্ট্র সচিব এবং রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।