হাইব্রিড চলে গেছে, এখন এসেছে বায়োটেক : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই ১৯৯৯ সালে আমরা হাইব্রিড ধান এবং হাইব্রিড সবজি চাষের রিপোর্ট প্রকাশ করেছি, তখনও হৈ-চৈ হয়েছে। এখন হাইব্রিড চলে গেছে, এখন এসেছে বায়োটেক।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ফর দি ইক্যুইজিশন অব এগ্রিবায়োটিক এপ্লিকেশন (আইসা) আয়োজিত ‘গ্লোবাল পারস্পেকটিভ অব বায়োটিক/জিএম ক্রপস্ এন্ড ইটস্ কন্ট্রিবিউশন টু ফুড সিকিউরিটি এন্ড পোভার্টি এলিভিয়েশন’-শীর্ষক সেমিনারে রবিবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে আপনারা অসময়ে সারাবছর লাউ, ফুলকপি খাচ্ছেন, এগুলো হাইব্রিডের ফলাফল। আবিষ্কার মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এক সময় বাংলাদেশে সাড়ে সাত কোটি জনসংখ্যার খাদ্যের অভাব ছিলো। এখন বাংলাদেশের যে জনসংখ্যা, তবুও খাদ্যের অভাব নেই। আমাদের আলু, চাল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বিজ্ঞানীদের বলব, আপনারা সাবধানতার সঙ্গে এ কাজটি করবেন।’
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে বলেন, ‘আমরা বিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, গবেষণাগার এসব সরবরাহ করতে পারি না। যে কারণে অনেক বিজ্ঞানীকেই বাংলাদেশে ধরে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আমরা বাংলাদেশ যেন গিনিপিগে পরিণত না হই।’
বিটি বেগুন চাষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিটি বেগুন চাষ যখন আমরা প্রথম অনুমোদন দিতে চাই, তখন অনেক প্রতিবাদ হয়। এটা নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত রিট হয়েছে। পরে আমরা কেইস-এ জয়লাভ করি। চীনে এটা আগে বেশি উৎপন্ন হতো, এখন বাংলাদেশ চীনকে ছাড়িয়েছে।’
পাটের জিন আবিষ্কার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘পাটের জিন আবিষ্কারের আইপিআর অন্য কেউ নিয়ে যাবে, সেটা কখনও হতে পারে না। বাংলাদেশ পাটের জিন আবিষ্কারক, এটা আমরা ধরে রেখেছি।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসার অ্যামিরেটস চেয়ার এবং প্রতিষ্ঠাতা ড. ক্লাইভ জেমস। সূচনা বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার মো. নাসিরউদ্দিন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইউনূসুর রহমান।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. সাদাত উল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ, আইসা’র পরিচালক ভগীরথ চৌধুরী প্রমুখ।