অভিযানের নামে আটক শিবির নেতাকে হত্যার অভিযোগ
রাজধানীতে অভিযানের নামে আটকের পর জসিম উদ্দিন নামে এক শিবির নেতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তবে পুলিশ দাবি করেছে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে জসিম।
এ নিয়ে রাজধানীতে গত ২১ দিনে তিন জামায়াত-শিবির নেতা ও একজন ছাত্রদল নেতা পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলো। এর মধ্যে তিনজন নিহত হয়েছে আটকের পর অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে।
পুলিশ জানায়, শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে রবিবার ভোরে ওই শিবির নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জসিম মিরপুর থানা (পূর্ব) শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক। সে মিরপুরের কাজীপাড়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের সদর উপজেলায়। মিরপুরে মণিপুর এলাকায় তিনি থাকতেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে পুলিশ জসিমকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
জসিমের বড় ভাই আনিসুর রহমান জানান, পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে এমন খবর পাওয়ার পর মিরপুর ও শেরেবাংলা নগর থানায় গেলে পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করে।
তিনি বলেন, ‘আজ (রবিবার) সকালে থানায় গিয়ে জানতে পারি জসিম পুলিশের গুলিতে মারা গেছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশ তাকে হত্যা করবে বলেই আটক করার বিষয়টি অস্বীকার করে। এরপর অভিযানের নামে রাতে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে।’ এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেও তিনি দাবি করেন।
তবে পুলিশ বলছে, আটকের পর জসিম পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ শনিবার রাতে তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয়। জসিমকে নিয়ে শেরেবাংলা নগর এলাকার তালতলার নতুন রাস্তা এলাকায় পৌঁছলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতেই জসিম নিহত হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, জসিমকে নিয়ে তার সহযোগীদের ধরতে গেলে তারা সেখানে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। তাদের গুলিতেই জসিম আহত হয়। এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
সুরতহাল রিপোর্ট
জসিমের সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে জসিমের বুকে এবং পিঠের ডান পাশে ৮টি ছিদ্র রয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তালতলা এলাকায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আছে— এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জসিমের লাশ উদ্ধার করে।