‘পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক হবে দেশ’
নতুন কোনো আইন নয়, প্রচলিত আইনের সঠিক ও কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমেই দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে বলে মনে করে সরকার।
সোমবার সকালে সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভা বৈঠকে দেশের চলমান অবস্থা নিয়ে এ ধরনের মনোভাব উঠে এসেছে বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রিসভার একজন সদস্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদের ওই সদস্য জানান, একাধিক মন্ত্রী বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও কঠোর আইন প্রণয়নের প্রসঙ্গ তুললে আইনমন্ত্রী তা নাকচ করে দেন। তিনি প্রচলিত আইনে কঠোর বিচার করা সম্ভব বলে মত দেন। প্রধানমন্ত্রীও এতে সাঁয় দেন। সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও বিশেষ নিরাপত্তা আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে যুক্তি তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে গত শনিবার ‘নাগরিক ঐক্য প্রক্রিয়া’র উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা নিয়েও একাধিক মন্ত্রী আলোচনা করেছেন। তবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য, রবিবার সরকারের পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও কঠোর সমালোচনা করে মন্তব্য করেছেন।
সূত্র জানায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘মারাত্মক অবস্থা’ বলে মন্তব্যকারী মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বৈঠকে তার ওই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, আমি যে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য করেছি মিডিয়ায় তা ঠিকভাবে আসেনি।
প্রসঙ্গত, ঢাকার সঙ্গে আন্তঃজেলা যোগাযোগ প্রায় ভেঙ্গে পড়লেও সরকার ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই বর্তমান অবস্থায় কোনো অস্বাভাবিকতা নেই বলে দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু গত শনিবার করা অর্থমন্ত্রীর ওই মন্তব্য মিডিয়াগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়।
সূত্রের ভাষ্যানুযায়ী, সরকার মনে করে বিএনপি যত হরতাল দেবে ততই অজনপ্রিয় হবে। বৈঠকে দেশের বিভিন্ন জায়াগায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারীদের অনেককে গণপিটুনি দেওয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়।
এভাবেই বিএনপির আন্দোলনে জনবিতৃষ্ণা আসবে বলে মনে করে সরকার।
তবে একই সঙ্গে সরকার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না এবং এভাবে পর্যায়ক্রমে দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে বলে মনে করছে সরকার।