আইনজীবীর কামড়ে আইনজীবীর আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন
মামলার ফি’র টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বগুড়া জেলা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) রবিউল আলম মিঠুর হাতের একটি আঙ্গুল কামড়ে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন অতিরিক্ত পিপি এ কে এম ফজলুল হক সবুজ। তারা দু’জনই জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ এর আদালতে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত রবিউল আলম মিঠুকে শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আদালতের প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী এবং জেলা আওয়ামী লীগের আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছন।
এ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন জানান, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব এ কে এম ফজলুল হক সবুজের কামড়ে আইনজীবী পরিষদের সদস্য রবিউল আলম মিঠুর হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ এর আদালতে বিরতির সময় অতিরিক্ত পিপি ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব এ কে এম ফজলুল হক সবুজের সঙ্গে এপিপি ও আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য রবিউল আলম মিঠুর তর্কাতর্কি হয়। রবিউল আলম মিঠু ফজলুল হক সবুজের বুকে ঘুষি মারলে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। এরপরও সবুজকে মারতে উদ্যত হন মিঠু। এ সময় সবুজ মিঠুর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কামড়ে দেন। এতে মিঠুর হাত থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলের সামনের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সেখানে উপস্থিত আইনজীবীরা পরে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। রবিউল আলম মিঠুকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার আঙ্গুলের বিচ্ছিন্ন অংশ সেলাই করে জোড়া লাগানো হয়েছে।
আদালত চত্বরে উপস্থিত একাধিক আইনজীবী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মামলার ফি’র টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
তবে এ বিষয়ে আহত দুই আইনজীবীর কেউই কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আহতদের দেখতে হাসপাতালে গেছি। মিঠুর হাতের আঙ্গুল অপারেশন করে জোড়া লাগানো হয়েছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না।’
বগুড়া বার সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম মন্টু বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। তারা দু’জনই আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য। বিষয়টি তারাই ভাল বলতে পারবেন।