যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ফের চার ‘বন্দি’ পালায়ন
যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ফের চার কিশোর ‘বন্দি’ পালিয়েছে। এর মধ্যে তিনজন হত্যা মামলার আসামি। এ ঘটনায় সোমবার কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সংশোধন কেন্দ্রটি থেকে তিনবার ‘বন্দি’ পালানোর ঘটনা ঘটলো।
কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার দাস দ্য রিপোর্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন কোতয়ালি থানায় একটি জিডি করেছেন।
জিডিতে বলা হয়, ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে অন্যান্য দিনের মতো কিশোরদের নিয়ে অ্যাসেম্বলি সম্পন্ন করে ক্লাস ট্রেডে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ওই চার কিশোর অসুস্থতার দোহাই দিয়ে বাইরে যায়। একপর্যায়ে কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেন্দ্রের পেছনের প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাওয়া কিশোররা হলো- বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার আফালকাঠি গ্রামের জসিমউদ্দিনে ছেলে রাজিব হাওলাদার, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়ি গ্রামের আমিনুর ইসলামে ছেলে রুবেল ইসলাম, ফরিদপুর সদর উপজেলার মোমিন মাতুব্বরের বাড়ির কামাল সরদারের ছেলে ইউসুফ সরদার এবং রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার কমলাবাজার এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে শুভ। এদের মধ্যে রাজিব হাওলাদার, রুবেল ইসলাম এবং ইউসুফ সরদার হত্যা মামলার আসামি।
এর আগে যশোর শহরতলীর পুলেরহাটে অবস্থিত এ কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে গত বছর দুই বার কিশোর অপরাধীরা পালিয়ে যায়। আজও তারা ধরা পড়েনি।
বার বার বন্দি পালয়নের ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ইতোপূর্বে একটি কমিটি গঠন করে। ওই প্রতিবেদনে ব্যাপক দুর্নীতি, অদক্ষ, জনবল সংকটের কারণে কেন্দ্রটিতে ‘বন্দি’ অসন্তোষ রয়েছে। যে কারণে ঘন ঘন ‘বন্দি’ পলায়নের ঘটনা ঘটছে বলে উল্লেখ করা হয়।
‘বন্দি’ পালানোর ব্যাপারে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহবুদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, কিশোর অপরাধীদের সংশোধনের জন্য প্রতিষ্ঠিত দুটি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের একটি যশোরে অবস্থিত।