‘বঙ্গবন্ধু-জিয়াও সংলাপের দাবি মানতেন’
‘বঙ্গবন্ধু-জিয়াও সংলাপের দাবি মানতেন’ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকার সহযোগিতা করবে বলে এত দিন যারা গলা ফাটিয়েছেন, আজ তারা কোথায়? অবস্থান কর্মসূচির চেয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এ দেশে কখনো হয়নি। অথচ এখানে নানাভাবে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চলমান অবস্থান কর্মসূচির ১৩তম দিন সোমবার তিনি এ মন্তব্য করেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মুসলিম লীগের পাণ্ডারা ভাসানী হুজুরের বদনা চুরি করেছিল। নোয়াখালীতে মহাত্মা গান্ধীর ছাগল চুরি হয়েছিল। আর এখন, দিনে-দুপুরে সরকার আমার পায়খানার চট চুরি করেছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তিনি যেমন আমার দাবি মেনে নিতেন, তেমনি জিয়াউর রহমান থাকলেও তিনি আমার দাবি মানতেন— এটা আমার বিশ্বাস। এখন কেউ কারও কথা মানতে চান না।’
দেশের চলমান সংকট সমাধানে সকলের মধ্যে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ এবং অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নিজ কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। সোমবারও অসংখ্য সাধারণ মানুষ তার এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আসেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে মতিঝিল থানা পুলিশ কাদের সিদ্দিকীর বসার চকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে যায়। ওই দিন বিকেল থেকে তিনি ফুটপাতের উপর পাটি পেতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গণভবনে যাবেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী। ১৩ দিন ধরে স্বামীর রাজপথে অবস্থান এবং তার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশী হয়রানির প্রতিকার চাইতে ছেলে-মেয়েসহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নাসরীন সিদ্দিকীর সাক্ষাতের সময় চেয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী রবিবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেন। চিঠিতে সোমবার সাক্ষাতের সময় প্রার্থনা করা হলেও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে এ প্রসঙ্গে কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।