বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত
হরতালের সময় বৃদ্ধি করায় বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বুধবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরীক্ষা স্থগিত করার কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্থগিত হওয়া পরীক্ষা সুবিধাজনক সময়ে নেওয়া হবে। সময়টা আমরা পরে জানিয়ে দেব। সামনে একুশে ফেব্রুয়ারি রয়েছে। আশা করি তারা (২০ দলীয় জোট) আর হরতাল দেবেন না। আমাদের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ করে দেবেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান হরতাল আরও ৪৮ ঘণ্টা বেড়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হবে।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে বৃহস্পতিবার ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা/ইসলাম শিক্ষা, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা/হিন্দু ধর্ম শিক্ষা, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা/বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা/খ্রিস্ট ধর্ম শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
এছাড়া দাখিলে ফিকহ ও উসুলুল ফিকহ; কারিগরিতে পদার্থ বিজ্ঞান-২ (১৯২৫, সৃজনশীল) ও পদার্থ বিজ্ঞান-২ (৮১২৫, সৃজনশীল/সাধারণ) এবং দাখিল ভোকেশনালে পদার্থ বিজ্ঞান-২ (১৭২৫, সৃজনশীল) ও পদার্থ বিজ্ঞান-২ (৮৫২৫) বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক দেশের সবাই উদ্বিগ্ন, কেউ আর নিরাপদ নয়। ১৫ লাখ ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষার নিয়ে আমরা কৌশলের সাথে এগোচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নমনীয় হয়ে চলছি, এটাই স্বাভাবিক। বার বার আমরা অনুরোধ জানিয়েছি আমাদের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ দিন। এরপর আপনারা যা খুশি করুন।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছি। বলেছি অন্তত পরীক্ষার ২ ঘণ্টা আগে ও পরীক্ষার ২ ঘণ্টা পর পর্যন্ত হরতাল স্থগিত রাখুন। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আমরা সাড়া পাইনি। আমাদের ছেলে-মেয়েদের জীবনের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে বড়।’
অনির্দিষ্টকালের অবরোধের মধ্যে হরতালের কারণে সর্বশেষ রবিবারের (৮ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষা শুক্রবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ও মঙ্গলবারের (১০ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষা পরিবর্তন করে শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নেওয়া হয়েছে।
হরতালের কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রথম দুটি পরীক্ষাও পেছানো হয়। ২ ও ৪ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৩৮৪ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪৮ ও কারিগরিতে ৯৬ হাজার ২১০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।