সাগর-রুনি হত্যা: তিন বছরেও দাখিল হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন
দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল তিনটি বছর। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়নি আজও। তদন্তের কাজ কবে শেষ হবে তাও বলতে পারছেন না তদন্তকারী কর্মকর্তা।
নিহতদের পরিবারের দাবি- র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মামলাটির কোনো তদন্তই করছে না। তাই হত্যার তিন বছরেও তারা কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব হেডকোয়াটারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ওয়ারেস আলী মিয়া বলেন, ‘খুব গুরুত্বসহকারে সাগর-রুনি হত্যা মামলাটির তদন্তকাজ চলছে। তবে মামলার তদন্ত কবে শেষ হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।,
ওয়ারেস আলী মিয়া আরও বলেন, ‘মামলার তদন্তের বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হয়। তারা যখনি মামলার তদন্ত শেষ করার ঠিক প্রয়োজন মনে করবেন, তখনি মামলার তদন্তের কাজ শেষ করব।’
মামলার বাদী ও মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলম রোমেন বলেন, ‘তিন বছরেও মামলার তদন্তের কোনো অগ্রগতি হয়নি। র্যাব যদি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করত তাহলে মামলার তদন্তকাজ শেষ হতো। মূলত র্যাব মামলাটির কোনো তদন্তই করছে না।,
রোমেন আরও বলেন, ‘র্যাব মামলার তদন্তের বিষয় আমাদের জানায় না। আমাদের পরিবারের দাবি- মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করুক।’
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসায় খুন হন।
সাগর-রুনি খুন হওয়ার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রথমে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর ন্যস্ত করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে দেওয়া হয়।