দেশে এইচআইভি আক্রান্ত রোগী ৩৬৭৪ জন
২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৭৪ জন বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অনুপস্থিতিতে তিনি এ তথ্য দেন।
মন্ত্রী জানান, ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে এইচআইভি (পজিটিভ) রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬৭৪ জন। এর মধ্যে এইডস রোগী এক হাজার ৪১৪ জন। এইচআইভি ও এইডস আক্রান্তের মধ্যে যাদের সিডি ৪ কাউন্ট পরীক্ষা করে ৫০০ এর নিচে ভেল্যু পাওয়া যায়, সে সকল রোগীর সরকারি তত্ত্বাবধান ও অর্থায়নে আশার আলো, মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ এবং CAAD নামে তিনটি এনজিওর মাধ্যমে Anti-Retroviral Drug (ARD) প্রদান করা হয়।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তা ছাড়া কাউন্সেলিং, সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিসেবা এবং পারিবারিক ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্যও এ্যাডভোকেসি প্রদান করা হয়। যেহেতু রোগটি নিরাময়যোগ্য নয়, সেহেতু জনসাধারণ যাতে এ রোগে আক্রান্ত না হয় সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২০-২৩ নভেম্বর ২০১৫ ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সময়কালে বাংলাদেশে আয়োজিত সবচেয়ে বৃহৎ আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন (International Congress on AIDS in Asia and the Pacific) এর ১২তম আসর অনুষ্ঠিত হবে।’
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিসেম্বর ২০১৪ সাল পর্যন্ত শতকরা ৭৮ দশমিক ৪ জন দম্পতি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণকারীর মোট সংখ্যা দুই কোটি ১০ লাখ ৩১ হাজার ১১৬ জন। ১৯৭৫ সালে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ছিল ৭ দশমিক ৭৫। বর্তমানে এ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৬১ দশমিক ২ শতাংশ।
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন, এ্যান্টি-টকসিন, ইনসুলিন ও এ্যান্টিক্যান্সার ওষুধের মতো খুবই উন্নত প্রযুক্তির কিছু ওষুধ ছাড়া প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। যার হার চাহিদার শতকরা ৯৭ ভাগ।’
তিনি বলেন, ‘ওষুধশিল্পে Good Manufacturing Practice অনুশীলনে অগ্রগতি ও উৎপাদিত ওষুধ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিধায় বর্তমানে দেশে উৎপাদিত ৬৩টি থেরাপিউটিক গ্রুপের বিভিন্ন প্রকার ওষুধ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ৯১টি দেশে রফতানি হয়ে আসছে। এ সুবাদে বাংলাদেশ ওষুধ আমদানিকারক দেশের পরিবর্তে রফতানিকারক দেশ হিসেবে গৌরব অর্জন করেছে।