খালেদা জিয়া বাংলা ভাইয়ের মা : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পেট্রোল দিয়ে মানুষ খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেলে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি দস্যুতা ও জঙ্গী কর্মকাণ্ড করছেন।’
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী রাজনীতি করছেন না। তিনি খুনী ও বাংলা ভাইয়ের মা। জনগণ না চাইলে এমনিতেই তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।’
দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে বুধবার বিরোধী দলের চিফ হুইপ তাজুল ইসলামের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও জামায়াত কোনো রাজনীতি করছে না। যে কাজ তারা করছে, তা হলো মানুষকে পুড়িয়ে মারা। এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ড তিনি করাচ্ছেন। বিএনপি নেত্রী নিজের ঘর ছেড়ে অফিসে থেকে উনার নিরাপত্তার জন্য আবার তারকাঁটার বেড়া দিয়ে নিজেকে আরও নিরাপদ করেছেন। কাদের হাত থেকে তিনি নিজেকে নিরাপদ করছেন? আজ উনি নিজেকে সুরক্ষিত করছেন, কার কাছ থেকে বাঁচার জন্য?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করছেন। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। উনি যে অপকর্ম করছেন, মানুষ আজ ফুঁসে উঠছে। এটা বাংলাদেশে কখনো দেখা যায়নি। একটি দল বা জোটনেত্রী, তিনি আজ ক্ষমতায়ও নেই, পার্লামেন্টেও নেই কিন্তু তার অপকর্মের ফলে মানুষ আজ এমন ক্ষেপে গেছে যে, তাকে আক্রমণ করতে পারে— এই ভয়ে উনি নিজেকে সুরক্ষিত করছেন। এর কারণ কী? কারণ উনিতো রাজনীতি করছেন না, উনি দস্যুবৃত্তি করছেন। উনি জঙ্গী কাজ করছেন। উনি জঙ্গীনেতা। দস্যুবৃত্তি করে বেড়াচ্ছেন।’
‘খালেদা জিয়া খুনী, তিনি খুনীর কাজ করছেন। বাংলা ভাইও তার সৃষ্টি। উনি বাংলা ভাইয়েরও মা। কাজেই এ সমস্ত রাজনৈতিক দল যারা মানুষ হত্যা করছে, দেশবাসী যদি চায়, জনগণ যদি চায়, আমি মনে করি তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই’— বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত খুনের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়, মানুষকে নিঃশেষ করতে চায়। মানুষের জানমাল জীবন-জীবিকা সবকিছু নষ্ট করে দিচ্ছে তারা। জনগণ যদি চায় তাহলে এমনিতেই তারা নিষিদ্ধ হবে— এটাই হলো বাস্তবতা। জনগণ যদি চায়, তাহলে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। জনগণ চাইলে এমনিতেই নিষিদ্ধ হবে তারা।’
সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন খসরুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ঠিক যে, খালেদা জিয়া যখন হরতাল-অবরোধের ডাক দিল, তখন জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়ে গেল। তাদের মদদ দেওয়া, অর্থ সরবরাহ করা— এগুলোর সঙ্গে যে তার (খালেদা জিয়া) সম্পৃক্ততা আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তদন্তসাপেক্ষে দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তার বিচার ইনশাআল্লাহ্ এ দেশে হবে।’
প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, আবদুর রউফ অংশগ্রহণ করেন।