খালেদা-তারেকের পদত্যাগ দাবি- ‘আসল বিএনপি’র ৩ ঘণ্টা ১৭ মিনিটের হরতাল
বিএনপি থেকে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পদত্যাগ দাবিতে রবিবারা তিন ঘণ্টা ১৭ মিনিটের হরতাল ডেকেছে ‘আসল বিএনপি’।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শুক্রবার বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের এ ঘোষণা দেন ‘আসল বিএনপির’ মুখপাত্র দাবিদার কামরুল হাসান নাসিম।
কামরুল হাসান নাসিম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি বেগম খালেদা জিয়া এখন আর রাজনৈতিক দল নয়, অপশক্তির ধারক। সঙ্গত কারণে তাঁর পদত্যাগ করা এখন বিএনপির মনের দাবি। ঠিক সেই কারণেই ১৫ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) রবিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা তিনটা ১৭ মিনিট পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পদত্যাগের দাবিতে হরতাল আহ্বান করা হলো।’
হরতালের সময় ‘খালেদা জিয়াকে সামনে রেখে প্রতীকী পিকেটিং’ করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে এর ধরন কী হবে সেটা স্পষ্ট করেননি ‘আসল বিএনপির’ এই মুখপাত্র।
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের বিরোধীতা করে কামরুল হাসান নাসিম বলেন, ‘দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যার জন্য সংলাপ করতে হবে। সংলাপ করার যে পরিবেশ দরকার তা বর্তমানে দেশে নেই। এখন বিএনপির নেতৃত্বে আছেন খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে কোনো সংলাপ করতে পারবেন না। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমরা বিএনপির সব কমিটি পুনর্গঠন করার পর আমাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সংলাপ করবেন।’
নাসিম বলেন, ‘সুশীল বলে কোনো শব্দ নেই। সুশীলরা হলো পরাক্রমশালী রাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া একটি গোষ্ঠী। ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আসিফ নজরুলরা সব সময় সুযোগের সন্ধানে থাকেন। তারা সব সময় অপেক্ষায় থাকেন- কখন দেশে রাজনৈতিক ক্রাইসিস সৃষ্টি হবে। সে সময় তারা একটি উদ্দেশ নিয়ে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন। তাঁরা সুযোগ সন্ধানি।’
৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন বিতর্কিত ছিল না বলেও দাবি করেন নাসিম। তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির জন্য অভিশাপ নয়, আশির্বাদ স্বরূপ এসেছি।’
এ সময় দলের আবুল খায়ের, আবদুল মান্নান, আযহারুল ইসলাম, টিপু মীর, সেলিম, আয়শা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তবে উপস্থিত কারও দলীয় পদ উল্লেখ করা হয়নি।