সংকট নিরসনে নাগরিক কমিটি গঠন- ‘সন্ত্রাস বন্ধ ও সংলাপ সমান্তরালভাবে চলা উচিত’
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ ও সংলাপ সমান্তরালভাবে চলা উচিত। এটা না হলে জনমনে আস্থা তৈরি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা।জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে শুক্রবার ‘উদ্বিগ্ন নাগরিকদের পক্ষে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে চলমান সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্য তৈরির লক্ষ্যে শামসুল হুদাকে আহ্বায়ক করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শামসুল হুদা বলেন, ‘যে কোনো রাজনৈতিক বিরোধ নিরসনে সংলাপের বিকল্প নেই। তাই আমরা চলমান এ সংকট নিরসনে সংলাপের উদ্যোগ নিতে সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি। বিশেষভাবে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
কমিটির কাজ কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এ কমিটির মাধ্যমে জনসাধারণকে জানান দিতে চাই আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। তা ছাড়া এ কমিটি বর্তমান প্রেক্ষাপট প্রত্যক্ষ করবে এবং জনগণের সামনে তা তুলে ধরবে।’
তিনি বলেন, আমরা নিজেরা চিন্তা করব। অন্যান্য পেশাজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করব।’
সংকট সমাধানে আপনারা দুই দলের কাছে যাবেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বেচ্ছায় কারও কাছে যাব না। তবে কেউ ডাকলে তখন অবশ্যই যাব।’
দেশের ইতিহাসে অনেক আন্দোলন হয়েছে কিন্তু এমন সহিংসতা ছিল না উল্লেখ করে শামসুল হুদা বলেন, ‘দুই দলকেই সহিংসতা বন্ধ এবং সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। তবে পরিবেশ শান্ত না হলে কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়। তাই আগে সহিংসতা বন্ধ করা উচিত।’
সমস্যা সমাধানে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ কখনোই শুভকর হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে শামসুল হুদা বলেন, ‘চলমান সংকট নিরসনে নাগরিকদের উদ্যোগ মেনে নিন। নয়তো আপনারাই বলুন বিকল্প রাস্তা কী?’
কেউ চাইলে স্থায়ী সমাধানে আমাদের কমিটির কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারে বলেও জানান এ সাবেক নির্বাচন কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্য তৈরির লক্ষ্যে দেশের শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাবেক আমলাসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বয়ে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির কেউ কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদাকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ড. আকবর আলী খান, এসএম সফি সামি, রাশেদা কে চৌধুরী, সাবেক আইজি এসএম শাহজাহান, অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, রোকেয়া আফজাল, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, আইনজীবী শাহদীন মালিক, আনোয়ার উল চৌধুরী পারভেজ, হোসেন মনসুর ও সুজন সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।