রাতেও শুকনো খাবারেই ভরসা
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে শুক্রবার রাতেও শুকনা খাবার খেয়ে সময় পার করছেন অবস্থানকারী নেতা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বলেন, ‘ম্যাডামের জন্য উনার স্বজনদের পাঠানো স্বল্প খাবার ও ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের বাসা থেকে দুপুরে পাঠানো কিছু খাবার আমরা অনেকে মিলে ভাগাভাগি করে খেয়েছি।’
কার্যালয়ে রান্নার ব্যবস্থা আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অফিসের নিচে কর্মচারীদের জন্য সম্ভবত রান্নার ব্যবস্থা আছে। ওদের কাছে হয়ত কিছু চাল-ডাল থাকতে পারে। হয়ত তারা সেগুলো রান্না করে খেতে পারে। তবে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
তিনি বলেন, ‘সবার জন্য রান্না করতে চাল-ডাল, তরকারি, সবজিসহ আনুসঙ্গিক অনেক কিছু লাগে। বাজার থেকে সেগুলো আনতে হয়। এখানে কোনো বাজার আনা হয়নি। তাই সবার জন্য রান্নার প্রশ্ন আসে না।’
চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত কার্যালয়ে কোনো রান্না হয়নি। আমরা শুকনো খাবার খেয়েছি।’
প্রেস উইংয়ের অপর সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘রান্নার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমরা কষ্টে আছি। রাতেও শুকনো খাবার খেয়ে কাটাতে হচ্ছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কার্যালয়ে অবস্থানকারীদের খাবার পরপর তিনদিন পুলিশ আটকে দেয়।
স্টাফদের খাবার ভেতরে প্রবেশে বাধা দিলেও বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য তার স্বজনদের আনা খাবার প্রবেশে পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি। কার্যালয়ে অবস্থানরত দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের বাসা থেকে শুক্রবার খাবার এলে তা ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় পুলিশ।
লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণার গত ৩৯ দিন ধরে গুলশান ২ এলাকার ৮৬ নম্বর রোডের বাড়িতে অবস্থানকারী খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গত বুধবার রাত থেকে খাবার প্রবেশে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দুপুরেও খাবার প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
খালেদা জিয়ার জন্য তার বড় ছেলে তারেক রহমানের শ্বশুরের বাসা, মেজো বোন সেলিনা ইসলাম ও দুই ভাইয়ের বাসা থেকে পর্যায়ক্রমে খাবার দেওয়া হচ্ছে।
কার্যালয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা সাবেক আইজি এমএ কাইয়ুম, প্রেস সচিব, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ও কার্যালয়ের কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মী মিলিয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক লোকজন রয়েছেন। পুলিশের বাধার কারণে গত তিনদিন ধরে খাবার সঙ্কটে পড়েছেন তারা।