ভারতের বিপক্ষে ইতিহাসের প্রতীক্ষায় পাকিস্তান
প্রতিপক্ষ চিরচেনা। দু’টি দলের মাঠে নামার অর্থ শত কোটি মানুষের আবেগ এক মোহনায় মিলিত হওয়া। সাধারণ সময়েই অবস্থাটা এমন। আর বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও ভারত মুখোমুখি হলে গোটা ক্রিকেট বিশ্বকেই তা ছাপিয়ে যায়। এ্যাডিলেডে হবে ম্যাচ। পরিপূর্ণ আবেগটা মাঠেই উপভোগ করবেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটভক্তরা। মর্যাদার সেই লড়াইয়ে রবিবার মাঠে নামবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ক্রিকেটের অনেক লিজেন্ড খেলেছেন পাকিস্তান দলে। জিতেছেন বিশ্বকাপও। কিন্তু একটা আফসোস থেকেই গেছে তাদের। ভারতকে এখনো বিশ্বকাপে হারাতে পারেননি। মিসবাহ-উল হকের সামনে তাই প্রথম দিনেই থাকছে ইতিহাসের হাতছানি।
ভারত অস্ট্রেলিয়ায় বাজে সময় পার করছে। গত কয়েক মাস ধরে দেশটিতে অবস্থান করছে মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে কোনো জয় নেই। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলা ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজেও হারের বৃত্তেই বন্দী ছিল দলটি। সর্বশেষ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে তারা। বোলিং লাইন নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। পেসনির্ভর উইকেটে পাচ্ছেন না ইশান্ত শর্মাকে। বদলি হিসেবে পাচ্ছেন স্টুয়ার্ট বিনিকে। বিকল্প ভাবা হতে পারে মোহিত শর্মাকেও। ভুবনেশ্বর কুমারকেও পাচ্ছেন না ধোনি।
অবশ্য এ সব নিয়ে চিন্তিত নন ধোনি। খুব একটা চাপও নিচ্ছেন না। বলেছেন, ‘খুব বেশী স্নায়ুবিক চাপ নেওয়ার কিছু নেই। দলে যথেষ্ট মেধাবী মুখ আছে। সবারই পরিস্থিতি সামলে ওঠার অভিজ্ঞতা আছে।’
পাকিস্তানের আসলে হারানোর কিছু নেই। জিতলে সেটা হবে প্রাপ্তি। পাকিস্তান দলেও ইনজুরির তেমন সমস্যা নেই। ১৫ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হচ্ছে পাক-ভারত দ্বৈরথ। মিসবাহ তাই এই ম্যাচটিকে নিচ্ছেন সুযোগ হিসেবে। তবে চাপমুক্ত থাকার পক্ষে তিনিও। ম্যাচ নিয়ে মিসবাহ বলেছেন, ‘ইতিহাস গড়ার এটি সুযোগ। পাক-ভারত ম্যাচ সবসময়ই চাপের। কিন্তু আমরা খেলাটাকে উপভোগ করতে চাই। সেভাবেই নামব মাঠে।’
পাক-ভারত মুখোমুখি রেকর্ড
ওয়ানডেতে ১২৬ বার মুখোমুখি হয়েছে দু্ই দল। এর মধ্যে পাকিস্তান ৭২ ও ভারত জিতেছে ৫০টিতে। ফল আসেনি বাকি ৪টি ম্যাচে।
বিশ্বকাপে দুই দলের ৫ বার দেখা হয়। প্রত্যেকবারই জয় পেয়েছে ভারত।
মোহালিতে ২০১১ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ২৯ রানে হারিয়েছে ভারত।
শেষ ম্যাচে ৮৫ রান করে সেরা হয়েছিলেন ভারতের সাবেক ব্যাটিং লিজেন্ড শচীন টেন্ডুলকার।
ভারতের (সম্ভাব্য) একাদশ : মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, আজিঙ্ক রাহানে, সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র জাদেজা, স্টুয়ার্ট বিনি/মোহিত শর্মা, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, মোহাম্মদ সামি ও উমেশ যাদব।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ : মিসবাহ-উল হক (অধিনায়ক), আহমেদ শেহজাদ, নাসির জামশেদ, ইউনিস খান, হ্যারিস সোহেল, শোহায়েব মকসুদ, উমর আকমল (উইকেটরক্ষক), শহীদ আফ্রিদি, ওয়াহাব রিয়াজ, এহসান আদিল/সোহাইল খান ও মোহাম্মদ ইরফান।