আমি পা ধরতেও রাজি : শিক্ষামন্ত্রী
পরীক্ষার সময় হরতাল না দেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের পা ধরতেও রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
নতুন করে হরতাল দেওয়ায় রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত জানাতে হেয়ার রোডের বাসভবনে শনিবার বিকেলে আয়োজিত জরুরী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাকে বলতে পারেন আপনি বেহায়ার মতো বারবার একই কথা বলছেন। আমাদের সন্তানদের জন্য আমি বেহায়া হয়েছি। আমি তাদের (আন্দোলকারীদের) পা ধরতেও রাজি আছি। তারা বলুক কী করতে হবে।’
গত ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে হরতালের কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এ পর্যন্ত ছয় দিনের ৪৪টি বিষয়ের পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।
পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার মধ্যে হরতাল না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অন্তত পরীক্ষার আগে দুই ঘণ্টা ও পরীক্ষার পরে দুই ঘণ্টা হরতাল স্থগিত রাখুন। কিন্তু কোনো আহ্বানে সাড়া দেয়নি ২০ দলীয় জোট।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা নেওয়া, ক্লাস শুরু হওয়া, বই দেওয়াসহ অনেক কিছু আমরা একটা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসেছিলাম। এখন সে শৃঙ্খলা রক্ষা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। শিক্ষা পরিবারের ছয় কোটি সদস্য অনিশ্চয়তা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। ভাবছে সামনে আর কী সর্বনাশ তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।’
পরীক্ষা পেছানোর কারণে ৬০ দিনের মধ্যে এসএসসির ফলাফল দিতে সমস্যা হবে কিনা— জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তা জানি না। তবে অনিশ্চয়তা তো আছেই। আশাকরি হরতাল আর বাড়বে না। তবেই আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল দিতে পারব।’
ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শুক্রবার ক্লাস নেওয়াসহ বিশেষ কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে কিনা— জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষার পর মূল্যায়ন করে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’