রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা ২০ ফেব্রুয়ারি
নতুন করে হরতাল দেওয়ায় আবারও পেছাল এসএসসি পরীক্ষা। রবিবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানীর হেয়ার রোডের বাসভবনে শনিবার বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরীক্ষা পরিবর্তনের কথা জানান।
চলমান অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি ফের ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। হরতাল চলবে রবিবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত।
রবিবার এসএসসিতে গণিত (আবশ্যিক), দাখিলে ইংরেজি (অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের) ও ইংরেজি প্রথম পত্র, কারিগরিতে রসায়ন বিজ্ঞান-২ (১৯২৬) ও রসায়ন বিজ্ঞান-২ (৮১২৬) এবং দাখিল কারিগরিতে রসায়ন বিজ্ঞান-২ (১৭২৬) ও রসায়ন বিজ্ঞান-২ (৮৫২৬) বিষয়ের পরীক্ষা ছিল।
হরতালের কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এ পর্যন্ত ৬ দিনের ৪৪টি বিষয়ের পরীক্ষা পেছান হল।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৩৮৪ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪৮ ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ৯৬ হাজার ২১০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খুবই মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। সমগ্র জাতি আজ আতঙ্কিত। আমাদের রাজনৈতিক নেতারা এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে ছাত্রদের শিক্ষাজীবন সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে দয়া-মায়া, মানবতাবোধের উদ্ভব হয়নি। একই নিয়মে তারা আবার হরতাল ডেকেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের ঝুঁকির মধ্যে, হিংস্রতার মুখে ঠেলে দিতে পারি না। এ জন্য পরীক্ষা পরিবর্তন করা হয়েছে। ভয়-ভীতির মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া সমীচীন মনে করি না।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষার মধ্যে হরতাল আমাদের শিক্ষার্থীদের সমগ্র জীবনের ওপর প্রভাব ফেলবে। ভবিষ্যতে মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। এ জন্যই আমি বার বার বলি, এর খেসারত আমাদের ৪০ বছর পর্যন্ত দিতে হবে।’
‘আশা করি, তাদের মধ্যে মূল্যবোধ জাগ্রত হবে। তারা সামনের পরীক্ষাগুলো নেওয়ার পথ সুগম করে দেবেন। আশা করি, এই হরতালই হবে শেষ হরতাল’ বলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।
গত বৃহস্পতিবারের (১২ ফেব্রুয়ারি) স্থগিত পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।