‘খালেদা সুস্থ, সেলিমা-নজরুল ভাল নয়’
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ভাল নেই।’
গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে ফেরার পথে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ তাহির। তার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি চিকিৎসক প্রতিনিধি দল সোমবার বিকেল ৩টায় গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। ৫টার দিকে তারা বের হয়ে যান।
মোহাম্মদ তাহির বলেন, ‘আমাদের ডাকা হয়েছিল ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা দেখার জন্য। ম্যাডাম সুস্থ আছেন। এ বয়সে যতটুকু ভাল থাকা যায় তিনি তা আছেন। তবে সেখানে অবস্থান নেওয়া ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ভাল নেই।’
তাদের কি চিকিৎসা দিয়েছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ তাহির বলেন, ‘চিকিৎসার ব্যাপারে তোমাদের কি বলব?’
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেলের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তৌহিদুল হক, এনাম মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু এবং এ্যাপোলো হাসপাতালের সেবিকা লাবনী।
দুপুর পৌনে ৩টার দিকে একটি এ্যাম্বুলেন্সযোগে (ঢাকা মেট্রো-ছ ৭১-০৮৯২) ৮৬ নম্বর সড়কের দক্ষিণ দিক দিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টার করেন চিকিৎসক দল। এ সময় এ্যাম্বুলেন্সটির গতিরোধ করে পুলিশ। তারা এ্যাম্বুলেন্সে থাকা শুকনো খাবার ও শারীরিক পরীক্ষার জন্য কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে কার্যালয়ে যেতে চাইলে শুধু যন্ত্রপাতি নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর কার্যালয়ের প্রধান ফটকে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ফের আটকান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা কার্যালয়ে প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে মোহাম্মদ তাহির বলেন, ‘আমি কোনো রাজনীতি করি না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা আমাকে তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে অনুরোধ করেছেন।’
তিনি বলেন, কার্যালয়ে অবস্থান করা দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানসহ অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য এসেছি।
ডা. তাহির বলেন, ‘১/১১-এর সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্দী থাকা অবস্থায়ও তার চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করেছি। এ ছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদসহ আরও অনেক রাজনীতিবিদের চিকিৎসা করেছি।’
প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষার পর চিকিৎকদের কার্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ল্যাবএইড হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের একদল চিকিৎসক কার্যালয়ে অবস্থানরতদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন।