স্বজনদের অভিযোগ ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে হত্যা, ঝিনাইদহে বিএনপি সমর্থক ২ যুবককে গুলি করে হত্যা
জেলার সদর উপজেলায় বিএনপি সমর্থক দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, তাদের দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে।
অন্যদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের লাশ পাওয়া যায়।
উপজেলার ডেফোলবাড়িয়া গ্রামে রবিবার রাতের কোনো এক সময় এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়। সোমবার সকাল ৮টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন— সদরের পৌর এলাকার চরখাজুরা গ্রামের পৌর কাউন্সিলর ও বিএনপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফার ছেলে পলাশ হোসেন (২৬) ও একই গ্রামের নাছিম বিশ্বাসের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দুলাল (৩০)।
নিহত পলাশ পেশায় কৃষক ও দুলাল ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। এ ছাড়া তারা দু’জনই বিএনপির সমর্থক ছিলেন।
নিহত পলাশ হোসেনের বাবা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা জানান, বৃহস্পতিবার পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার সরজগঞ্জের দশমাইল নামক স্থান থেকে তার ছেলে পশাল ও সঙ্গে থাকা দুলালকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে।
তিনি বলেন ‘আমি তাদের খোঁজ না পেয়ে শুক্রবার ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। পরে আজ (সোমবার) সকালে তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ পেলাম।’
এ দিকে নিহত দুলালের ভাই আলাল অভিযোগ করে বলেন, ‘ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। চার দিন পর সোমবার ভোরে আমার ভাইয়ের গুলিবিদ্ধ লাশ ডেফোলবাড়িয়া মাঠে পাওয়া গেছে।’
এ ঘটনার তদন্তপুর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার (এসপি) আলতাফ হোসেন জানান, জেলার সদর উপজেলার ডেফোলবাড়িয়া গ্রামের মাঠে সোমবার ভোরে দুই যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পলাশ হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন দুলালের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, ওই দু’জনকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। কারা বা কেন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।