ধামইরহাটে ফের ধরা পড়েছে অজগর
জেলার ধামইরহাটে স্থানীয়দের হাতে আবারও একটি অজগর ধরা পড়েছে। উপজেলার আলতাদীঘি শালবন জাতীয় উদ্যানের পাশে জগৎনগর গ্রাম থেকে মঙ্গলবার দুপুরে এটি উদ্ধার করা হয়।
গত ছয় মাসে ধামইরহাট আলতাদীঘি শালবন এলাকায় আটক হল দুটি অজগর ও দুটি চন্দ্রবোড়া সাপ। তবে উদ্ধার করা অজগরগুলো ইতোপূর্বে বনবিভাগের পক্ষ থেকে ছাড়া সাপ বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
তারা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামের একটি গভীর নলকূপের পাশে তালগাছের গোড়ায় অজগরটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে ধামইরহাট বন বিভাগের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ফাহমিদ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে অজগরটি উদ্ধার করে বনবিট কার্যালয়ে আনা হয়। পরে সেটি খাঁচায় বন্দী করে রাখা হয়। অজগরটি উদ্ধারের পর রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। উদ্ধার করা অজগরটি ইতোপূর্বে বনে ছেড়ে দেওয়া সাপগুলোর একটি কিনা তা পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, অজগরটির ওজন প্রায় ১৬ কেজি, লম্বায় সাত ফুট।
বনবিট কার্যালয়ে অজগরটি আনার পর সেটি দেখার জন্য অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন। এর আগে, ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার দেবীপুর গ্রামে একটি চন্দ্রবোড়া উদ্ধার করে গ্রামবাসী। গত বছর ১২ আগস্ট গভীর রাতে ধামইরহাট উপজেলার মঙ্গলকোঠা গ্রামের বসত বাড়িতে খাবারের সন্ধানে হানা দিতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে প্রায় ১০ ফুট লম্বা ও ৩০ কেজি ওজনের একটি অজগর। একই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর উপজেলার নন্দনপুর গ্রামে ধরা পড়ে আরও একটি চন্দ্রবোড়া। ধরার পর এলাকাবাসীর তোপের মুখে প্রথমে রাজশাহী এবং পরে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে সাপগুলো অবমুক্ত করা হয় বলে জানা গেছে।
২০১৩ সালের প্রথম দিকে আলতাদীঘি শালবন জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয় দুটি অজগর। ওই সময় একটির ওজন ছিল ১৮ কেজি এবং অপরটির ৩৩ কেজি। পরবর্তী সময়ে খাবারের সন্ধানে প্রাণীগুলো লোকালয়ে চলে আসতে শুরু করে।
গেল বছর ৬ জুলাই রাতে ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে বিশাল আকৃতির একটি অজগর আস্ত এক শিয়াল গিলে ফেলে। প্রকাশ্যে শিয়াল খাওয়ার দৃশ্য দেখার পর শালবনের আশপাশে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অজগরগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবি করেন তারা। প্রাণী বিশেষজ্ঞরাও অজগরগুলো সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন।