নেত্রকোনায় ধর্ষণের দায়ে ৫ জনের ফাঁসির রায়
নেত্রকোনায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের দায়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম আবুল কাশেমের আদালত বুধবার দুপুর ১২টায় এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, জেলার পূর্বধলা উপজেলার কালডোয়ার গ্রামের ভিকন রংদি (১৭), টিকন রংদি (২০), তাপস শেমা (১৮), শামীম (৩৫) ও রূপমিয়া। এদের মধ্যে রূপমিয়া পলাতক রয়েছে। এ মামলায় এখলাছ (২৮) নামে একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাইফুল আলম প্রদীপ জানান, ২০০২ সালের ২০ জুলাই ওই কিশোরী তার মা ও বোনের জামাইয়ের সঙ্গে কালিকাবর গ্রাম থেকে রিক্সায় করে পূর্বধলা উপজেলার সাতপাটি গ্রামে আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাত ১১টার দিকে কুমারখালী নামক স্থানে পৌঁছলে ৫ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র উচিয়ে তাদের রিক্সার গতিরোধ করে। মা ও বোনের জামাইকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা জঙ্গলের পাশ্ববর্তী একটি নির্জন ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে টহল পুলিশ এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
তিনি জানান, ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে পরদিন পূর্বধলা থানায় ৬ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ৮ নভেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামী ভিকন, টিকন, তাপস, শামীম ও রূপমিয়ার বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন। মামলার অপর আসামী এখলাছের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট সুভাষ বনিক অজয় ও সমীর জোয়ার্দার বকুল।