অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন কার্যক্রম উদ্বোধন
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এর মাধ্যমে এবার ঘরে বসেই ভোটাররা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
এ সময় সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আজকে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। সবকিছুই পরিবর্তন হচ্ছে আমরাও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভোটারদের অনলাইন সুবিধা দিচ্ছি, তবে আগের প্রক্রিয়াও চালু থাকবে। আমারা উপজেলা সার্ভার স্টেশন চালু করে ফেলব। চালু করার আগে আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।’
যখন যে প্রযুক্তি আসবে সেটাতে চড়ে বসতে হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, নতুন যারা ভোটার হতে আগ্রহী তারা রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া যারা ভোটার আছেন তারা রেজিস্ট্রিশনের মধ্যমে এ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিজস্ব তথ্য তৈরি, সংশোধন, পরিবর্তন ও ছবির স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে পারবেন। হারিয়ে যাওয়া ও নষ্ট হওয়া পরিচয়পত্রও পুনরায় পাওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।
তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদনের নিয়ম
তথ্য সংশোধনের জন্য ভোটারদের প্রথমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে www.ec.org.bd/Bangla প্রবেশ করতে হবে। এর পর ডান পাশের ‘এনআইডি অনলাইন সার্ভিসেস’ লেখা লিংকে অথবা সরাসরি services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। পরে রেজিস্ট্রেশন অপশনে গিয়ে চারটি ধাপে তথ্য পূরণ এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন শেষ হলেই মোবাইল বা ই-মেইলে যাওয়া গোপন নম্বরের মাধ্যমে এ্যাকাউন্ট সচল করবেন।
এ্যাকাউন্ট সচল হওয়ার পর ভোটাররা ফরম পূরণের সময় দেওয়া তথ্য দেখতে পারবেন এবং তা সংশোধনের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, অনলাইনের মাধ্যমে নামের বানান, ঠিকানা, স্বাক্ষর, রক্তের গ্রুপ, জন্ম তারিখ ছবিসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। তবে তথ্য সংশোধের সময় অবশ্যই ইসির চাহিদামতো প্রমাণাদি দিতে হবে। এ ছাড়া যে সব এলাকায় অনলাইনের ব্যবস্থা নেই তারাও লিখিত আবেদনের মাধ্যম তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। বিদ্যমান ভোটারদের তথ্য সংশোধন শেষ হলেই ইসি স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত শুরু করবে।
ইসি জানায়, স্মার্ট কার্ড বিতরণ ও প্রস্তুত করতে ফরাসি কোম্পানি অবারথু টেকনোলজির (oberthur technology) সঙ্গে চুক্তি করেছে নির্বাচন কমিশন। কোম্পানিটি ২০১৬ সালের জুনের মধ্যেই ৯ কোটি ভোটারের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেবে। এতে ৭৯৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
ইসি আরও জানায়, প্রাথমিকভাবে ২৫টি কাজে স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করা হবে। এগুলো হলো— সরকারি সব অনলাইন সুবিধা, টিআইএন নম্বর (TIN) প্রাপ্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, সম্পত্তি কেনাবেচা, ব্যাংক হিসাব খোলা, ব্যাংক ঋণ, সরকারি ভাতা উত্তোলন, সহায়তা প্রাপ্তি, বিআইএন, শেয়ার-বিও এ্যাকাউন্ট, ট্রেড লাইসেন্স, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, বীমা স্কিম, বিয়ে রেজিস্ট্রেশন, ই-পাসপোর্ট, ই-গভর্ন্যান্স, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, মোবাইল সংযোগ, হেলথ কার্ড, ই-ক্যাশ, ব্যাংক লেনদেন ও শিক্ষার্থীদের ভর্তি ক্ষেত্রে এ স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করা হবে।