‘মাশরাফি আমাকে ফোন করে এনেছে’
মাশরাফি আমাকে ফোন করেছে দ্রুত অস্ট্রেলিয়া আসার জন্য। বুধবার মেলবোর্নে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেছেন, ‘আমার কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় থাকার কথা। কিন্তু আমাকে মাশরাফি ফোন করে আগেই এখানে নিয়ে এসেছে। মাশরাফি যখন আমাকে ফোন করেছে, তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম ডিসিপ্লিন সংক্রান্ত কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। আসার পর যখন দেখলাম সবকিছু ঠিক আছে, তখন স্বস্তিবোধ করেছি। কিন্তু এরপর আমার উপস্থিতিতে আল-আমিন এমন ঘটনা ঘটাল, যা কিনা অবিশ্বাস্য।’
শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে নাকি ভিন্ন কোনো কারণে আল-আমিনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে? এই সিদ্ধান্তটা তার জন্য কঠিন হয়ে গেল কিনা? এমন প্রশ্নে নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘এখানে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ ছাড়া আর কিছু হয়নি, এটা একেবারে নিশ্চিত। ডিসিপ্লিনের ব্যাপারে আমরা প্রথম থেকেই কঠোর।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এতগুলো কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও এটা সত্যি খুব চিন্তার বিষয়। আমরা কল্পনাই করতে পারিনি। যেখানে সিনিয়র খেলোয়াড়রা সব নিয়ম মেনে চলছে; অথচ আল-আমিন এমন একটা কাণ্ড ঘটাল। এত রাতে বাইরে চলে গেল। সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা হচ্ছে ও (আল-আমিন) কোথায় গেল সেটা আমরা এখনো জানি না। যেহেতু সে একেকবার একেক রকম উত্তর দিয়েছিল।’
দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা সবাই আল-আমিনকে এবারের জন্য ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘সবাই মিলে আমার কাছে এসেছিল। অনুরোধ ছিল, এবারের মতো ওকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। একটা কারণেই ছাড়া হয়নি। ওদের আমি বলেছি, কালকে যদি তোমাদের আরও একজন এমন করে তাহলে কি করব? ক্ষমা করার তো প্রশ্নই উঠে না।’
আইসিসি কিংবা আকসুর কাছ থেকে আপনারা কী জেনেছেন— এ প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘তথ্যটা দিয়েছে আকসু। এর মানে এই নয় যে, আল-আমিন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত। আইসিসি কিংবা আকসু বিশ্বকাপ চলাকালে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়কেই নজরদারিতে রেখেছে।’
শৃঙ্খলার ব্যাপার যেহেতু বলছেন; বিশ্বকাপ শুরুর আগে দলের ম্যানেজারের সঙ্গে কোচের কিছু সমস্যা ছিল, এটা কি সমাধান হয়েছে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘এই ব্যাপারটা একেবারেই ঠিক না। প্রতিদিনই ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। কেউ কোনোদিন এই ধরনের কথা আমাকে বলেনি। একটা ইস্যু অবশ্য ছিল। সুজনের রোলটা কি হবে এটা বলা হয়নি। ম্যানেজারের কিছু দায়িত্ব ছিল। আমরা চাচ্ছিলাম ও শুধু ম্যানেজার না, আরও সব কিছুতে অন্তর্ভুক্ত হোক। এর জন্য সে (সুজন) আমাকে রিকোয়েস্ট করেছিল, বোর্ড থেকে একটা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিতে, তাহলে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।’