খালেদা জিয়ার পাশে নেই অভিজ্ঞ নেতারা
২০০৭ সাল থেকে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বর্তমান খালেদা জিয়ার বিএনপি। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি টানা অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি পালন করছে। এ সময় দলের শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শামসুজ্জামান দুদু, রুহুল কবির রিজভীসহ বেশ কয়েকজন কারা অন্তরীণ, যারা আন্দোলন সংগ্রামে সরব ছিলেন।
এখন যারা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বাইরে রয়েছেন তাদেরও পাশে পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ নেতাকেই চলমান আন্দোলনের এ চরম মুহূর্তে পাশে পাচ্ছেন না দলীয় প্রধান। এর মধ্যে এম শামসুল ইসলাম দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অসুস্থ অবস্থায় রাজনীতিতে একেবারে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য বি. জে. (অব.) আ স ম হান্নান শাহ গত প্রায় দু’মাস ধরে কিডনি ও লাং ইনফেকশনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বয়সের কারণে প্রায় নিষ্ক্রিয়। স্থায়ী কমিটির সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য ড. আর এ গণির বয়স নব্বই উর্ধ্ব। তিনিও প্রায় অচল হয়ে পড়েছেন। স্থায়ী কমিটির একমাত্র নারী সদস্য বেগম সারোয়ারী রহমানও গত বছর দুয়েক ধরে অসুস্থ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম অভিজ্ঞ রাজনীতিক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন। এ সবের বাইরে যেসব সিনিয়র অভিজ্ঞ নেতা রয়েছেন তাদের অধিকাংশই গ্রেফতার, নিপীড়ন ও জেল-জুলুমের ভয়ে রয়েছেন আত্মগোপনে ও সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
বিএনপির বর্তমান সিনিয়র নেতাদের মধ্যে দেশীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে অভিজ্ঞ হিসেবে দেখা হয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামকে। শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে তিনিও দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে বিশেষ করে ঢাকাকেন্দ্রিক রাজনীতিতে অনুপস্থিত রয়েছেন। যশোরে গাড়ি পোড়ানো মামলায় বর্তমানে অনেকটাই আত্মগোপনে রয়েছেন।
বিএনপির রাজনীতি সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে তরিকুল গণমাধ্যমে কথাও বলতে চান না। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি যশোরে আছি। এ সব বিষয় আমাকে জিজ্ঞাসা না করে ঢাকার নেতাদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন।’
২০১৩ সালের মার্চ মাসে ঢাকায় সফরে আসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। তার সঙ্গে সাক্ষাতের শিডিউল থাকা সত্ত্বেও হরতালের অজুহাতে দেখা করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি তখন দেশের বিরোধীদলীয় নেতাও। বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারকারী ভারতের মতো প্রতিবেশী একটি বড় দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ না করাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখেন রাজনৈতিক মহল।
গত ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ার পর সমবেদনা জানাতে গুলশান কার্যালয়ে যান শেখ হাসিনা। কিন্তু খালেদা জিয়া তার সঙ্গেও দেখা করেননি।
সেই সময় গুলশান কার্যালয়ে শোক জানাতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপযুক্ত অভ্যর্থনা ও সৌজন্য না দেখানোকে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির অন্যতম নীতি নির্ধারক মির্জা আব্বাস। তিনি একে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের অর্বাচীনতা হিসেবে মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশবাসীর মনে আশার আলো জেগেছিল দুই নেত্রীর সাক্ষাতের মাধ্যমে সংলাপের দুয়ার খুলবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বিএনপির নেতারা সে দিন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেননি। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
গত ৪ জানুয়ারি রাত থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশান কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ আছেন। ৫ জানুয়ারি পূর্বঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে ওইদিন রাতে তিনি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাকে বাধা দেয়। এর পর দিন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বর্তমানে গুলশান কার্যালয়ের অনেক বাধা পুলিশ তুলে নিলেও খালেদা জিয়া সেখানে অবস্থান করছেন। কার্যালয়ে তার সঙ্গে অবস্থান করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা এমএ কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান খান শিমুল বিশ্বাস।
বর্তমান এ পরিস্থিতিতে দলের অভিজ্ঞ নেতাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ পাচ্ছেন না তিনি। অজ্ঞাত স্থান থেকে চলমান কর্মসূচি গণমাধ্যমে বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছেন রাজনীতিতে অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্দোলনসহ দল পরিচালনায় যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের সঙ্কট তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ দলের কৌশলের বিপরীতে নিজেরা দ্রুত ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষের কৌশলের কাছে পরাজিত হতে হয়।
১৯৭৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শে রাজনৈতিক দল বিএনপির জন্ম দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। দেশের একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে সেই সময়ের সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা আসে।
জিয়াউর রহমান অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা ও সচেতনতার সঙ্গে তার গড়া নতুন দলে দেশীয় রাজনীতির অভিজ্ঞ কিছু নেতাকে সঙ্গে নেন। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অল্প সময়ের মধ্যেই শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে যায় বিএনপি।
১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শহীদ হন। এরপর সংসার থেকে বেরিয়ে এসে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া বিএনপির নেতৃত্ব নেন। বিএনপির নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন খালেদা জিয়া। গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, পরিবর্ধনের মাধ্যমে দলের চেয়ারপারসনকে একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সকল ক্ষমতা দেওয়া হয়। এতে করে তৃণমূলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা ব্যক্তিরা ধীরে ধীরে দলটি থেকে কখনও বহিষ্কৃত হয়েছেন বা কখনও স্বেচ্ছায় সরে গেছেন।
দীর্ঘ চড়াই উৎরাই পেরিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী ৯ বছরের আন্দোলনের পর ১৯৯১ সালে দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রথম দফা ক্ষমতায় এলেও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে দেশে রাজনৈতিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় বিরোধী দলের তীব্র আন্দোলনের মুখে পড়ে বিএনপি। অবশেষে দলের অভিজ্ঞ নেতাদের পরামর্শে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ায় ১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হলেও একক সংসদে আসনের দিক থেকে বৃহৎ বিরোধী দল হিসেবে নির্বাচিত হয়। একই নির্বাচনী পদ্ধতিতে ২০০১ সালে বিএনপি পুনরায় ক্ষমতায় এলেও দলের মধ্যে মতপার্থক্য, অভিজ্ঞদের প্রতি ‘অবজ্ঞা’ ‘অবহেলা’ প্রকাশ্য রূপ নেয়। এরপর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মতামতের অমিল, দ্বন্দ্ব ও নানা কারণে দলটি হারিয়েছে প্রতিষ্ঠাকালীন বেশ কয়েকজন নেতাকে।
এর মধ্যে প্রথমে রয়েছেন দলের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ২০০১ সালে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর বি চৌধুরী দেশের সর্বোচ্চ পদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু বছর দেড়েক পরেই তার সঙ্গে দলের শীর্ষ পর্যায়ে ঘটে মতের অমিল। এক পর্যায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন বিএনপি জাতীয় সংসদে তাকে ‘ইমপিচ’ করারও উদ্যোগ নেয়। এ পর্যায়ে বি চৌধুরী রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে চলে যান। বর্তমানে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামক একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২০০১ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে জোট শরিক জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে চরম বিরোধে জড়িয়ে পড়েন দলের আরেক অন্যতম শীর্ষ নেতা (শহীদ জিয়ার অত্যন্ত আস্থাভাজন) কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। চট্টগ্রামে তার নির্বাচনী এলাকার বাইরেও কর্নেল অলি আরেকটি আসনে নির্বাচন করার দাবি জানান। কিন্তু জোটগত কারণে দলের হাইকমান্ড অলির কাঙ্ক্ষিত আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালে তিনি বিদ্রোহ করেন। এক পর্যায়ে তিনি দলের হাইকমান্ড ও চেয়ারপারসনের পুত্র তারেক রহমান সম্পর্কেও গণমাধ্যমে বিরূপ বক্তব্য রাখেন। এরপর কর্নেল অলি দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে গড়ে তোলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
বর্তমানে তিনি এর চেয়ারম্যান।
কর্নেল অলির সঙ্গে বিএনপি থেকে বেরিয়ে যান বার বার নির্বাচিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নেতা সাবেক স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলী। শেখ রাজ্জাক আলীকে ২০০১ সালের নির্বাচনে দলের খুলনা অঞ্চলের অপর নেতা অধ্যাপক শেখ কবির হোসেনের কারণে ৫ম বারের মত মনোনয়ন দিতে পারেনি। পরে বিএনপি ক্ষমতায় এসে তাকে যুক্তরাজ্যে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে। ওই পদে চার বছর পার করে তিনি দলের কাছে মন্ত্রীর মর্যাদা দাবি করেন। কিন্তু দেশের রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় তা না দেওয়া গেলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। এর পর তিনি কর্নেল অলির দলে যোগ দিলেও দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে প্রায় নিষ্ক্রিয়। কিন্তু বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়ে শেখ রাজ্জাক আলী প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন।
দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা বিগত ওয়ান ইলেভেন। সেই সময়ে রাজনৈতিক বৈরী প্রেক্ষাপটে বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া দলের দেড় শতাধিক সংসদ সদস্যকে নিয়ে একটি সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তার সেই সংস্কার প্রস্তাব পুরো বিএনপিকে নাড়িয়ে দেয়। সেই প্রস্তাব মূলত দলের নেতৃত্ব থেকে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার প্রস্তাব হিসেবে দলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে থাকেন। আর এ প্রস্তাবের কারণে ওয়ান ইলেভেনের সময়ে গ্রেফতার হওয়ার আগে খালেদা জিয়া আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করেন। একই দিন আরও বহিষ্কার করেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ আশরাফ হোসেন ও দফতর সম্পাদক মফিদুল ইসলাম তৃপ্তিকে। সেনা সমর্থিত বিশেষ সরকারের সময় পেরিয়ে মুক্ত রাজনীতিতে আর ফিরতে পারেননি আবদুল মান্নান ভূঁইয়া। এক পর্যায়ে অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এখনও দলে ফিরতে পারেননি খুলনা অঞ্চলে এক সময়ের শ্রমিক সমাজের শক্তিশালী নেতা আশরাফও।
ওয়ান ইলেভেনপরবর্তীতে দলের প্রতিষ্ঠাকালীন আরেক নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীও বহিষ্কার হন তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দল বিএনপি থেকে।
বিএনপির এমন দুরবস্থার কারণ জানতে চাইলে সাবেক স্পিকার রাজ্জাক আলী কোনো প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড অসুস্থ কোনো প্রকার রাজনৈতিক মন্তব্য করার অবস্থা আমার নেই।’
এ ব্যাপারে দলের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি এখন গণতান্ত্রিক দল নয়। গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে চেয়ারপারসনকে। সিনিয়র ও অভিজ্ঞদের কোনো মতামতের জায়গা এখানে নেই। ওয়ান ইলেভেনের পরপরই আমরা চেয়ারপারসনের কাছে দলের গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের কয়েকটি প্রস্তাব করি। উনি এতে আমাদের ওপর অখুশি হন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গ্রেফতার হওয়ার আগে আমাকে ও মান্নান ভূঁইয়া সাহেবকে বহিষ্কার করে যান।