হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি গুলশান কার্যালয়ে
হরতাল-অবরোধ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের অনুলিপি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের এমএলএসএস হুমায়ুন ইসলাম খান শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে আদেশের অনুলিপি গুলশান কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
কার্যালয়ের গেট থেকে প্রথমে অনুলিপি গ্রহণ করে তা আবারও বাহকের কাছে ফেরত দেওয়া হয়। পরে ওই বাহকের পরিচয় ও অনুলিপি পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত হয়ে পৌনে ৬টার দিকে তা গ্রহণ করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, হুমায়ুন নামে একজন হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি নিয়ে আসেন। পরে তার পরিচয় ও হাইকোর্ট থেকে পাঠানো অনুলিপির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তা গ্রহণ করা হয়।
আদেশের অনুলিপি থেকে জানা গেছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহিনুর ইসলাম শাহিন নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও আবু তাহের মো. সাইফুরের দ্বৈত বেঞ্চে চলমান হরতাল-অবরোধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিট আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দেন। এ ছাড়া রুলও জারি করেন আদালত। রুলে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে হরতাল বা অবরোধ দেওয়াকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে হরতাল বা অবরোধ বন্ধে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেওয়া হবে না, হরতাল-অবরোধের হুমকি, সন্ত্রাস, সহিংসতা বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
এ ছাড়া ৫ জানুয়ারির অবরোধ এবং তা অব্যাহত রাখা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়।
রিটে বিবাদী করা হয়- স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিজিবির মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনার, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিকল্পধারার সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ ১৬০ জনকে।
রিট আবেদনের প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ১৪৪ নম্বরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়।
বাহক হুমায়ুন ইসলাম খান বলেন, আদালতের আদেশের অনুলিপিটি গতকাল (বৃহস্পতিবার) নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু আসতে পারিনি। তাই আজ এসেছি।