হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয়ী নিউজিল্যান্ড
বিশ্বকাপে উড়ন্ত ফর্মে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। একের পর এক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করছে তারা। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে দলটি। এবার তাদের শিকার অস্ট্রেলিয়া। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দুর্দান্ত ব্যাটিং আর ট্রেন্ট বোল্টের মারাত্মক বোলিংয়ে তারা ১ উইকেটে হারিয়েছে মাইকেল ক্লার্কের দলকে।
জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ঝড়োগতির ব্যাটিং করলেও অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তা আরও দ্রুত থেমেছে। দলীয় ৭৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে ৩টি উইকেট পেয়েছেন স্টার্ক আর একটি নিয়েছেন কামিন্স। ব্যক্তিগত ৫০ রানে কামিন্সের বলে আউট হয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। আর মার্টিন গুপটিল (১১ রান), রস টেলর (১ রান) ও গ্রান্ট ইলিয়টকে (১১ রান) সাজঘরে ফিরিয়েছেন স্টার্ক।
এরপর আরও ৩টি উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে একসময় মনে হচ্ছিল জয় পেতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শেষ অবধি তা হয়নি। কেন উইলিয়ামসনের অপরাজিত ৪৫ রানের সুবাদে ৯ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য টপকে গেছে নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। খেলতে নেমে স্বাগতিকদের বোলিংয়ে নাকাল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দলটি শেষ অবধি তা কাটিয়ে ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
বোলার ট্রেন্ট বোল্টই ভেঙে দিয়েছেন অস্টেলিয়ার ব্যাটিং মেরুদণ্ড। একাই ৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর টিম সাউদি ও ড্যানিয়েল ভেট্টরি পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। নিউজিল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলা অতিথি ব্যাটসম্যানরা তাই সুবিধা করতে পারেনি। তারপরও ডেভিড ওয়ার্নার ৩৪, ওয়াটসন ২৩, ফিঞ্চ ১৪ ও ব্রাড হাডিন ৪৩ রান করেছেন। তাই গুটিয়ে যাওয়ার আগে ১৫১ রান করতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন স্কোর ১২৯। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে এ স্কোর করেছিল তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া : ১৫১/১০, ওভার ৩২.২ (হাডিন ৪৩, ওয়ার্নার ৩৪, ওয়াটসন ২৩; বোল্ট ৫/২৭, ভেট্টরি ২/৪১, সাউদি ২/৬৫)
নিউজিল্যান্ড : ১৫২/৯, ওভার ২৩. ১ (ম্যাককালাম ৫০, উইলিয়ামসন ৪৫*, অ্যান্ডারসন ২৬; স্টার্ক ৬/২৮, কামিন্স ২/৩৮)
ফল : নিউজিল্যান্ড ১ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড)