‘খালেদার কবর রচনায় সংকট উত্তরণ সম্ভব’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কবর রচনার মধ্য দিয়ে দেশের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে রবিবার রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তার দলের নেতাকর্মীরা দিশেহারা। তারা সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না। তারা অন্ধকারের অতল গহ্বরে হারিয়ে গেছে। খালেদা জিয়া যেভাবে সন্ত্রাসের অন্ধকারে হারিয়ে গেছে সেখান থেকে রাজনৈতিকভাবে আলোর মুখ দেখার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ৫ জানুযারির নির্বাচন বয়কট করার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল দেশের গণতন্ত্র যেন মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। খালেদা জিয়া বলেছিল রক্ত দিয়ে হলেও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করবেন। কিন্তু তিনি পারেননি, এ দেশের ১৬ কোটি মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছে।’
আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিহিংসাবশত হয়ে খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারি অবরোধ ডেকেছে। স্বেচ্ছায় তিনি অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। এ অবরোধ-হরতালে ১১৫ জন মারা গেছেন। এর দায়-দায়িত্ব কার? কে নেবে এ হত্যার দায়িত্ব? অবশ্যই সন্ত্রাসীদের মহারানী খালেদা জিয়াকে এর দায়দায়িত্ব নিতে হবে। তার অবরোধে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মাতৃগর্ভের শিশু মারা গেছেন।’
সংলাপ আহ্বানকারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘১/১১ সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও শারীরিক ও রাজনৈতিক নির্য়াতন করে হত্যার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন আমরা এ সুশীলদের কর্মকাণ্ড দেখেছি। তাদের কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল। তারা বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিল। তাদের আজকে মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে। টেলিফোন সংলাপের মাধ্যমে তারা কী ধরনের ষড়যন্ত্র করছে জাতি দেখেছে। তাদের ষড়যন্ত্র আজকে মানুষের কাছে ধরা পড়ে গেছে। কাজেই এ ষড়যন্ত্রকে দমন করার জন্য সরকারকে আরও কঠোর থেকে কঠোর হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’