চলমান পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য গুরুতর বাধা : অর্থমন্ত্রী
দেশের চলমান পরিস্থিতিকে ‘উন্নয়নের জন্য গুরুতর বাধা’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
চলমান পরিস্থিতিতে দেশের বস্ত্রখাতের তিন (বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ) সংগঠন ও চামড়া খাতসহ অন্যান্য রফতানিকারকদের সহযোগিতা প্রদান সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
চলমান প্রায় দুই মাসের হরতাল-অবরোধকে ‘এক ধরনের জাতীয় সঙ্কট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় সঙ্কট বললে বিষয়টি অনেক বিরাট হয়ে যায়, বিষয়টি অত বিরাট নয়। তবে এটি উন্নয়নের জন্য গুরুতর বাধা।’
তিনি বলেন, ‘আমি চিন্তিত এ ব্যাপারে। কারণ সময়টা অনেক বড় বিষয়। টানা প্রায় দু্ই মাস হয়ে গেল এ পরিস্থিতি চলছে। কিন্তু এর শেষ বা শেষ রাস্তাটা কোথায় সেটা তো আমাদের দেখতে হবে। কিন্তু এখনো এর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’
বিএনপির প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, ‘এ দলটি তো সংসদেও নেই। সংসদে থাকলে তো একটা ফোরাম থাকে। আলাপ-আলোচনার সুযোগ থাকে। এখন বিএনপি ও বিএনপির সমর্থকদের ডিউটি হচ্ছে এ অবস্থার অবসান ঘটানো। কারণ তারাও এ দেশের নাগরিক। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বিজিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, বিটিএমএ সভাপতি তপন চৌধুরী, ইএবি সভপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, এমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এ এইচ আসলাম সানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় বিজিএমইএ নেতারা চলমান পরিস্থিতিকে ‘বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ইমেজ সমস্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে রফতানিকারকদের জন্য সরকারের নীতিগত সহায়তা অব্যাহত রাখা, নগদ প্রণোদনা প্রদান ও দ্রুত ছাড়করণসহ ২০ দফা দাবি তুলে ধরেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতি সরকার বড় রফতানিকারকদের যে সব সুবিধা দেবে একই সুবিধা যেন অন্যান্য রফতানি খাতেও দেওয়া হয়। কারণ তারাও ক্ষতিগ্রস্ত।’
রফতানিকারকদের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা সকলেরই হচ্ছে। তবে এটা অপ্রত্যাশিত। এ দুই মাসে হয়তো প্রভাব অতটা পড়বে না। এটা আরও পরে বোঝা যাবে। সুতরাং সকলের জন্যই কিছু করতে হবে। তবে এর আগে বিষয়টি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’