খালেদা জিয়া জঙ্গিদের নেত্রী : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, খালেদা জিয়া এখন জনগণের নেত্রী নন, জঙ্গিদের নেত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জঙ্গি দমন করছেন। একজন মাত্র জঙ্গি দমন করতে বাকি আছে। তিনি হলেন খালেদা জিয়া। তাকেও দমন করা হবে।
গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউসে সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কোনো জঙ্গির সাথে আওয়ামী লীগের আলোচনা হবে না। আলোচনা হবে ২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ ৫টি মন্ত্রণালয় দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া আলোচনায় আসেননি।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো আন্দোলন নেই। হরতাল-অবরোধ থাকলে কি যানজট হয়। ঢাকা শহরের সারাক্ষণ যানজট চলছে। খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। এ পর্যন্ত প্রায় এক শ’ মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এর মধ্যে শিশুও রয়েছে। আমরাও তো আন্দোলন করেছি। কিন্তু মানুষকে হত্যা করিনি, নির্যাতন করিনি। মানুষ এখন ভয়কে জয় করে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে।
খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিষয়। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
পরে মন্ত্রী সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, জেলায় কর্মরত চিকিৎসক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এম ইউ মঈন উদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জন এস এম সিরাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, গোপালগঞ্জ জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. আবিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম চৌধুরী, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ফরিদুর ইসলাম চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ বি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যার পর মন্ত্রী নির্মাণাধীন শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু ইনস্টিটিউট ও এসেনসিয়াল ড্রাগসের কারখানা পরিদর্শন করেন। এরপর মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে ফাতেহাপাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।