বৈঠকে কূটনীতিকরা খালেদা জিয়াকে যা বললেন…
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটসহ ৯টি দেশের কূটনীতিক বৈঠক করেন। এ সময় তারা সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় থেকে বেরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ এ উইলকক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে করেছি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় এই বৈঠক। মানবাধিকার রক্ষায় দুই দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি আমরা। বর্তমান রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকেই নিজেদের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে বৈঠকের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলেও জানান তিনি। তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কার্যালয়ে থাকা দলটির নেতারা জানান, খালেদা জিয়া চলমান অস্থিরতার অবসানে সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার রক্ষা ও চলমান সহিংসতার বিষয়ে আলোচনা হয়। কূটনীতিকরা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এই দুই দলের প্রতিই আহ্বান জানান। সহিংসতা বন্ধের কথা বলেছেন তারা।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইতালী, ফ্রান্স, জার্মান ও নেদারল্যান্ডের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত। এছাড়া বৈঠকে অংশ নেন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কার্যালয়ে অবস্থানকারী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এদিকে পতাকাবিহীন কালো রঙে কাচ ঢাকা একটি গাড়িতে একসঙ্গে সব কূটনীতিকরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢোকেন।
কার্যালয়ের ফটকে রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানান খালেদার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। এরপর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান তাদের দোতলায় চেয়ারপারসনের কাছে নিয়ে যান। দোতলায় খালেদার সঙ্গে আলোচনার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কূটনীতিকরা বেরিয়ে আসেন।
অন্যদের সঙ্গে আগে দেখা হলেও বাংলাদেশে দায়িত্ব নিয়ে আসার পর বার্নিকাটের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এটাই প্রথম সাক্ষাৎ। তবে তিনি সাংবাদিকদের কিছু বলেননি।
খালেদার সঙ্গে দেখা করার আগে এই কূটনীতিকরা গুলশানে অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনের সমবেত হন। বার্নিকাট পতাকাবাহী গাড়িতে করেই ওই হাইকমিশনের যান। পরে তারা একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রওনা হন। ওই সময় সাদা মাইক্রোবাসটি সামনে-পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের পুলিশ প্রোটেকশনের দুটি গাড়ি ছিল।