পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৫ এপ্রিল, খালেদার গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়না বহাল রেখেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির ২ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালত বুধবার এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে খালেদার পক্ষ থেকে সব আবেদন নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার বিষয়টিও বহাল রাখা হয়েছে।
এর আগে, ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এদিকে আদালতে হাজির না হওয়ায় কাজী সালিমুল হক কামাল ও সরফুদ্দিন আহমেদেরও জামিন বাতিল করা হয়।
আদালত খালেদা জিয়ার জামিন বাতিলের সময় বলেন, এ মামলার ৬৩ কার্যদিবসের মধ্যে খালেদা জিয়া সাত দিন উপস্থিত ছিলেন। তাই সব দিক বিবেচনা করে তার জামিন বাতিল করা হল।
ওই দিন মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদ সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এতিমদের নামে আসা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা নিজে লাভবান হওয়ার জন্য আত্মসাৎ করেন।’
গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলার অপর আসামীরা হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামীরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।