ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় চমক : ইমরুল
দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে যাচ্ছেন ইমরুল কায়েস। হঠাৎ করে এনামুল হক ইনজুরিতে পড়ায় সুযোগ পেয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপ নিয়ে তার স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপের মঞ্চে রঙ ছড়ানোর। সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ ছিলেন। অবশেষে সুযোগ এসেছে ইমরুলের। সেই সুযোগ ঠিকমতো ব্যবহার করতে চান তিনি। ২০১১ সালে তার অপরাজিত ৭৩ রানে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওই আসরে ৬ ম্যাচে তিনি সংগ্রহ করেছিলেন ১৮৮ রান। এবারও এমন সব ইনিংস খেলতে চান ইমরুল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই খবর শোনার পর থেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন ইমরুল। খুব বেশি সময় তো হাতে নেই। কারণ রাত ৯টায় অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে বিমান ধরতে হবে তাকে। দেশ ছাড়ার আগে দ্য রিপোর্টের সঙ্গে কথা বলেছেন ইমরুল। জানিয়েছেন নিজের প্রতিক্রিয়া। এভাবে অপ্রত্যাশিতভাবে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ায় দারুণ খুশি তিনি। সঙ্গে অবাকও হয়েছেন। তবে বিশ্বকাপে মাঠে নামার সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
প্রশ্ন : যে মুহূর্তে খবর পেয়েছেন তখন অনুভূতি কেমন ছিল?
ইমরুল : আমি যখন প্রথম শুনি এটা আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। যখন বিজয়ের ব্যথা লেগেছে তখনই অনেকে আমাকে বলেছে তুই যাচ্ছিস। কিন্তু আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। একবার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম যাওয়া হবে। কিন্তু শেষ অবধি হয়নি। এই কারণে এবার আর ভরসা করতে পারিনি। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম সেবার; তাই এবার আগেভাগে এ সব চিন্তা মাথায় নেইনি।
প্রশ্ন : কখন নিশ্চিত হলেন আপনি যাচ্ছেন বিশ্বকাপ খেলতে?
ইমরুল : দুপুরের দিকে ফারুক ভাই আমাকে ফোন করে বললেন ইমরুল তুমি যাচ্ছ। তখনই আমি নিশ্চিত হয়েছি। আমার স্বপ্নটা পূরণ হয়েছে। আমি যাচ্ছি। আমি তখন থরথর করে কাঁপছিলাম। স্বপ্ন দেখছি নাকি এটা সত্যি। তার পরও কেমন যেন লাগছিল। যেন ঘোরের মধ্যে আছি। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি চমক পেলাম যেন। আবার চিন্তা করলাম এখন বাংলাদেশের খেলা শেষপর্যায়ে, কীভাবে সুযোগ পেলাম। এমন সব প্রশ্ন মাথায় উঁকি দিচ্ছিল।
প্রশ্ন : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত বিশ্বকাপে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন; এবারে এমন কোনো লক্ষ্য আছে কি-না?
ইমরুল : আসলে খেলব কী খেলব না এটা এখনই বলতে পারি না। ওখানে যাওয়ার পর বুঝব। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে ভাল খেলার। যেহেতু সুযোগ পেয়েছি বিশ্বকাপে খেলার। ভিন্ন কন্ডিশনে নিজের সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা থাকবে আমার।
প্রশ্ন : যেভাবে সুযোগ পেলেন এটা কীভাবে দেখছেন?
ইমরুল কায়েস : ভাগ্য কিনা জানি না। আমি জাতীয় লিগে শেষ কয়েকটা ম্যাচে রান করছিলাম না। কিন্তু বেশ কষ্ট করছিলাম। আমি যখনই কষ্ট করি তখনই আমি এর একটা ফল পাই। হয়তো এটাই আমার কষ্টের কোনো ফল। তবে বিষয়টি আর আমার হাতে নেই। এনামুল দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাদ পড়ল। তাতে আমি সুযোগ পেয়েছি। আসলে এটা নিয়ে ভাবছি না। আমার চিন্তাটা প্রতিদান দিতে পারব কিনা তা নিয়ে। চেষ্টা করব সুযোগের প্রতিদান দেওয়ার।