‘জনগণ আপনাদের কর্মকাণ্ডের রেকর্ড রাখছে’ -সালাহ উদ্দিন আহমেদ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছন, ‘আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের আওতায় পৃথিবীর অন্যান্য গণহত্যাকারী স্বৈরশাসক ও তার দোসরদের পরিণতির দিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ প্রদান করছি। জনগণ আপনাদের নারকীয় কর্মকাণ্ডের সকল রেকর্ড সংগ্রহ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আন্দোলন দমনে গণহত্যার লাইসেন্স প্রদান করার পর এখন হত্যার দায়মুক্তির আইন করার সরকারী তৎপরতার খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে ইদানিং। শাসকগোষ্ঠীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- এই আইন শেষ আইন হবে না; ভবিষ্যতে আরও আইন হবে। অসাংবিধানিক, মৌলিক ও মানবাধিকার হরণকারী কোনো আইন আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না।’
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শুক্রবার বিকালে এ সব কথা বলেন তিনি।
বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নামে রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিকভাবে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং নৈতিকতা বিবর্জিত প্রহসনমূলক একটি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা লুণ্ঠন করে সরকার এখন জনগণের সাথে প্রতারণায় লিপ্ত। এই সংসদে ১৫৪ জনই বিনাভোটে নির্বাচিত, বাকি ১৪৬ আসনে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরেরা মিলেমিশে বাটোয়ারায় নির্বাচিত।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ অনেক বিরোধী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি এবং অনেক প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পরও ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনী নাটকে এবার ঠিক উল্টোভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর আওয়ামী লীগ দলীয় এবং জাতীয় পার্টির (এরশাদ) অনেক প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, গতরাতে (বৃহস্পতিবার) বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের যশোরের বাসভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। যশোরের বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের বাসায়ও একযোগে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এ জাতীয় ঘৃণ্য তৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শাসকগোষ্ঠীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই-গণমানুষের ন্যায্য আন্দোলনকে প্রতিহিংসার স্টীম রোলার চালিয়ে স্তব্ধ করা যাবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোট গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক জোট। আমরা জাতীয় রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আলোচনা, সংলাপ-সমঝোতায় বিশ্বাসী। জাতীয় এবং জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক মহলের সংকট নিরসনের সকল উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই সরকারী মহলের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে জনগণ আশা করে।