ইংল্যান্ড বধের প্রস্তুতিতে টাইগাররা
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এবারের আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে ইংল্যান্ড কিংবা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে কোনো একটি ম্যাচে জয় পেতেই হবে বাংলাদেশকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি আগামী ১৩ মার্চ। আপাতত তাই এই ম্যাচ নিয়ে চিন্তাভাবনা না করলেও চলবে। মাশরাফিদের বর্তমান চিন্তার সবটুকু জুড়ে তাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি। আগামী ৯ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে মুখোমুখি হবে দুই দল। এর আগে শনিবার বাংলাদেশ দল ইংল্যান্ড বধের মিশনে অনুশীলন করেছে। ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন করার পাশাপাশি ফিল্ডিং অনুশীলনও করেছে ক্রিকেটাররা।
দলের সঙ্গে নতুন যোগ দেওয়া ইমরুল কায়েসও এ দিন অনুশীলন করেছেন। টানা নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন ইমরুল। কেননা, দলের সঙ্গে নতুন যোগ দিলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার খেলাটা প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়। ব্যাটিং অনুশীলনে অন্যদের চেয়ে কোচের দৃষ্টি ইমরুলের দিকেই বেশী ছিল।
অ্যাডিলেডে মাঠে নামার আগে ২০১১ সালের সুখস্মৃতি কিছুটা হলেও নতুন করে স্বপ্ন যোগাবে বাংলাদেশকে। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণে তাদের পরাজিত করার স্বপ্নটা আরও বড় হয়েছে বাংলাদেশের সামনে। বর্তমান দলের মধ্যে ৮ জনের খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এদের মধ্যে রয়েছেন— তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলাম।
ইল্যান্ড ও বাংলাদেশের ম্যাচের কথা মনে আসলেই সবার আগে যার নাম আসে তিনি শফিউল ইসলাম। কেননা, ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর পিছনে তার অবদান ছিল সবচেয়ে বেশী। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ ম্যাচের ৪ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ রান। আর বল হাতে নিয়েছেন ৭ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৩৮ রানে ২ উইকেট। হয়তো গতবারের পারফরম্যান্সের বিচারে এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাকে দলে দেখার সম্ভাবনাও বেশী।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৮ বার ব্যাট হাতে নেমেছেন তামিম ইকবাল। তাদের বিপক্ষে ৩২.৮৭ গড়ে করেছেন ২৬৩ রান। এ ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে তামিমই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত (১২৫) রান করেছেন।
এনামুল হক বিজয়ের ইনজুরিতে হঠাৎ করেই বিশ্বকাপ দলে হঠাৎ সুযোগ পেয়েছেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৬ রানের ইনিংস ছিল তার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ বার মাঠে নেমে তার সংগ্রহ ২৪৯ রান। এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৬ রান।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ ম্যাচে সাকিব আল হাসান ২৫.৭১ গড়ে ১৮০ রান করেছেন। রয়েছে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকা এক ইনিংসও। অন্যদিকে, ৭৬ ওভার বল করে ৩৩৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ১১ উইকেট। সাকিবের সেরা বোলিং ফিগার ৩২ রান খরচায় ৩ উইকেট।
সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ বার ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছেন। ২৮.৮৩ গড়ে তিনি করেছেন ১৭৩ রান। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ৭৬।
বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ বার মুখোমুখি হলেও ব্যাট করতে পেরেছেন ৪ বার। আর এই ৪ ইনিংস মিলিয়ে করেছেন মোট ৮৮ রান। এক ইনিংসে তার সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৯ রান। বল হাতে সেরা সাফল্য ৩১ রানে ৩ উইকেট। মোট ৬৫.৫ ওভার বল করে ৩২০ রান খরচায় নিয়েছেন ৫ উইকেট।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ ম্যাচ খেলে মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫১ রান। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া ৩৩ ওভার বল করে নিয়েছেন ২ উইকেট।
পেসার রুবেল হোসেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন ৫টি ম্যাচ। যার মধ্যে ২ বার ব্যাট করে নিয়েছেন ৩ রান। তবে বল হাতে ইংলিশদের বিপক্ষে অন্য সবার চাইতে খারাপ অবস্থা রুবেলের। ৩৮.৫ ওভার বলে করে তিনি দিয়েছেন ৩৫৫ রান। নিয়েছেন মাত্র ৫টি উইকেট।