‘খালেদার আশা ছিল… তারা সাহস পায়নি’
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার আশা ছিল, কেউ এসে ক্ষমতা নিয়ে তাকে বসাবে। কিন্তু তারা সাহস পায়নি। বিদেশীদের ওপর তার আশা ছিল কিন্তু তারা বলেছে, জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। তাহলে খালেদার সঙ্গে আছে কে? আছে সন্ত্রাসী।’
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার জনগণকে বলব, এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। এদের রুখে দাঁড়ান। জঙ্গিবাদের কোনো স্থান বাংলার মাটিতে হবে না।’
দেশের মানুষের ওপর ১৯৭১ সালে পরাজিত ইয়াহিয়ার চামচারা হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকার মানুষের ওপর হামলা হচ্ছে। পরাজিত ইয়াহিয়ার চামচারা এই হামলা করছে। এরা কারা তা আপনারা জানেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলার মানুষকে হত্যা বরদাশত করা হবে না। খালেদার নামে শুধু দুর্নীতির মামলায় না, মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মামলাও হয়েছে। তার বিচার বাংলার মানুষ করবেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া অফিসে বসে হুকুম দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। যারা খালেদা জিয়ার মানুষ হত্যাকে প্রকেটশন দেওয়ার চেষ্টা করবে, তারাও সমান অপরাধী। তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, কী অপরাধ করেছে এ দেশের মানুষ? কী অন্যায় এ দেশের মানুষের? ৪৬ জন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। কেন এই ধ্বংসযজ্ঞ? মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা সহ্য করা হবে না।’
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজুলল করিম সেলিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রমুখ।