সাংবাদিককে পেটালেন আ’লীগ নেতা
জেলার মনোহরগঞ্জে ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক কালের কণ্ঠের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি আবদুর রহমানকে পিটিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল।
উপজেলা সদরের মনোহরগঞ্জ উত্তর বাজারে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক আবদুর রহমান দ্য রিপোর্টকে জানান, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কার্যক্রম চালুর জন্য উপজেলার প্রার্থীদের আবেদন করার জন্য বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রকল্পে আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এইচএসসি পাস হতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা না থাকায় মনোহরগঞ্জের বাসিন্দা ওই কার্যালয়ের ক্রেডিট সুপারভাইজার জাকির হোসেন প্রকল্পে নানা অনিয়ম করেন। তিনি টাকা নিয়ে অধিকাংশ আবেদনকারী এসএসসি পাস না করলেও তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা জাল সনদের মাধ্যমে এইচএসসি করে দেন।
এ বিষয়ে শনিবার দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘এইচএসসির সনদে নিরক্ষরের আবেদন’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর জের ধরে শনিবার উপজেলা যুবলীগ সদস্য কামাল হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে জরুরি কথা আছে বলে সাংবাদিক আবদুর রহমানকে বাজারের উত্তর মাথায় ডা. কবিরের দোকানে আসতে বলেন। সেখানে গেলে দরজা বন্ধ করে মোস্তফা কামাল তাকে ওই প্রকল্প নিয়ে রিপোর্ট করায় গালমন্দ করেন। এ সময় যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের ক্রেডিট সুপারভাইজার জাকির হোসেনও তার লোকজন নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
মৈশাতুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল গালমন্দের একপর্যায়ে আবদুর রহমানকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। এ সময় মোস্তফা আহত আবদুর রহমানকে বলেন, ‘যদি এ রিপোর্টের কারণে কোনো তদন্ত হয় তাহলে তুই মনোহরগঞ্জে থাকতে পারবি না।’ পরে স্থানীয় লোকজন আবদুর রহমানকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোস্তফা কামালের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার ফোনে (০১৭১১-৪৪৫৭৫১) একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই সরকার বলেন, ‘সংবাদকর্মীর ওপর হামলার বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আলহাজ গোলাম মোস্তফা জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।