বিশাল জনসভা, আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। সমাবেশ বিকেল ৩টা ২১ মিনিটে শুরু হলেও দুপুর থেকেই পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছিল লোকে লোকারণ্য।
শনিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও ৩টা ১৫ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক সমাবেশে বক্তব্য শুরু করেছিলেন।
এমন জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চোখ-মুখেও ছিল আত্মপ্রত্যয় ও আত্মবিশ্বাসের ছাপ। বক্তব্যও ছিল বিএনপির প্রতি আক্রমণাত্মক এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় দীপ্ত।
প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত জনতার গগণবিদারী মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ততক্ষণ নেতাকর্মীদের লাইন শাহবাগ ও দোয়েল চত্বর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। সমাবেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে ৭ মার্চের সমাবেশে আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে ইচ্ছুক নেতাদের কর্মীসহ উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। অনেকেই এটাকে নির্বাচনী শোডাউন হিসেবে কর্মীদের নিয়েছেন।
বিশাল লোকসমাগম দেখে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠেই হাত নেড়ে সবাইকে অভিবাদন জানান। এ সময় মঞ্চে বসা ছিলেন- আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর বক্তব্যের পর নিজের বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।