সোমবার সারাদেশে গণমিছিল রবিবার থেকে ফের ৭২ ঘণ্টার হরতাল
চলমান অবরোধের পাশাপাশি রবিবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এ ছাড়া সোমবার সারাদেশে গণমিছিল কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।
২০ দলীয় জোটের পক্ষে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বিবৃতিতে বলেন, ‘চলমান অবরোধ ও রবিবার সকাল ৬টা থেকে দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার হরতাল এবং সোমবারের গণমিছিল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং ২০ দলীয় জোটের সকল নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে ২০ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে উদ্বাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘসহ সকল বিশ্ব সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ সকল উন্নত রাষ্ট্রসমূহ এবং সকল আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতিবিহীন একটি প্রহসনমূলক নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। শতকরা ৯৫ ভাগ ভোটারবিবর্জিত স্বঘোষিত স্বৈরাচারী সরকার দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার মহড়া দিয়ে যাচ্ছে।’
বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, ‘সংসদ, আইন-আদালত, প্রশাসনসহ সকল গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে পদদলিত করে রাষ্ট্রকে এক ব্যক্তির হুকুমের দাসে পরিণত করতে চায় আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নির্মূল করে আওয়ামী লীগই একদলীয় স্বৈরতন্ত্র প্রচলন করেছিল। জনগণের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার এবং বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণের ইতিহাসই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। মৌলিক ও মানবাধিকার হরণ ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের ইতিহাসই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। বিরোধী দল ও ভিন্নমতের বিনাশে রক্ষীবাহিনীর গণহত্যার ইতিহাসই আওয়ামী লীগের ইতিহাস।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক রাষ্ট্রের (Political State) চেহারা হারাতে বসেছে। জনগণ এখন রাষ্ট্রকে ভয় পায়। কর্তৃত্ববাদী সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। গুম, খুন, অপহরণ ও গণগ্রেফতারসহ সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন, হামলা মামলায় জর্জরিত জনগণ এখন যেকোনো মুহূর্তে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ ঘটাতে প্রস্তুত।’
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এখনও প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাই, জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করুন। উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করুন। স্বৈরতান্ত্রিকতা, একনায়কতান্ত্রিকতা পরিহার করে রাষ্ট্রকে রক্ষা করুন এবং আপনার নিজের দলকেও রক্ষা করুন।’