বিবিসি বাংলার- প্রতিবেদন এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দেবার দায়ে দু’জনের জেল
বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তির ক্ষতি করার লক্ষ্যে এফবিআইএর এক এজেন্টকে ঘুষ দিয়ে গোপন তথ্য সংগ্রহের চেষ্টার দায়ে দু ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছে একটি মার্কিন আদালত।
দণ্ডিত এই দুই ব্যক্তি হচ্ছেন বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত রিজভী আহমেদ এবং জোহানেস থেলার। তারা কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণীতে জানা যাচ্ছে, ‘বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তির’ ক্ষতি করার জন্যই তার সম্পর্কে গোপন তথ্য বের করার পরিকল্পনা করেছিলেন মি. আহমেদ এবং মি. থেলার।
ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে এই মামলা সংক্রান্ত সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এই রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয় নি। তবে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে – তিনি হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
মার্কিন বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে বলা হয়, রিজভী আহমেদকে ৪২ মাসের কারাদণ্ড এবং জোহানেস খেলারকে ৩০ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় আরো বলা হয়, রিজভী আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি-সমর্থক জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার একজন নেতা।
বলা হয়, মি. আহমেদ ও মি. থেলার পরস্পরের পরিচিত ছিলেন, এবং নিউ ইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন্সএ এফবিআইয়ের একজন সাবেক বিশেষ এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক ছিলেন মি থেলারের একজন বন্ধু।
২০১৪ সালেই ঘুষ দেয়া এবং দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করেন এই দুজন। তারা বলেন যে মি. লাস্টিক – রিজভী আহমেদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে এফবিআইয়ের ভেতর থেকে গোপন তথ্য বের করে তাকে দিতে রাজী হয়েছিলেন।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত লাস্টিক ও খেলারের মধ্যে টেক্সট মেসেজ বিনিময় হয় – তাতে তারা কি ভাবে রিজভী আহমেদের কাছ থেকে আরো টাকা নেয়া যায় তা নিয়ে কথা বলেন।
মি. লাস্টিকও এই মামলায় বিচারাধীন । তিনি দোষ স্বীকার করেছেন এবং আগামি ৩০শে এপ্রিল তার দণ্ড ঘোষণার কথা রয়েছে।