সিলেটে ফারাবীর বাসায় ডিবি পুলিশের তল্লাশি
ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার শফিউর রহমান ফারাবীর সিলেটের বাসায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ঢাকা থেকে যাওয়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। এ সময় সেখান থেকে একটি ডেস্কটপের সিপিইউ জব্দ করা হয়।
নগরীর মুন্সীপাড়ার ১৬/ডি নম্বর বাসায় রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিবি পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল এ অভিযান চালায়। তাদের সহায়তা করে সিলেট কোতয়ালী থানা পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ জানান, ঢাকা থেকে আসা ডিবি পুলিশ ফারাবীর বাসায় অভিযান চালায়। তবে এ সময় বাসায় কেউ ছিল না। সেখান থেকে একটি ডেস্কটপের সিপিইউ জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন শফিউর রহমান ফারাবীকে গ্রেফতার করে র্যাব। ২ মার্চ দুপুরে র্যাব সদর দফতরে সংবাদ ব্রিফিং করে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, সোমবার সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ফারাবীকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ফারাবী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করতেন। তবে তিনি পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারেননি। প্রথমে তিনি বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখি করতেন, পরে নিজের নামে ‘ফারাবী ব্লগ’ চালু করেন।
র্যাবের ভাষ্য, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারাবী দাবি করেছেন, ব্লগে লেখালেখির সূত্রে অভিজিৎ রায়ের লেখার সঙ্গে তিনি পরিচিত হন। একপর্যায়ে লেখালেখি নিয়ে অভিজিতের সঙ্গে তার মতবিরোধ দেখা দেয়। অভিজিৎ দুই বছর আগে ফারাবীকে ‘ব্লক’ করে দেন। কিন্তু ফারাবী থেমে থাকেননি, বিভিন্ন মাধ্যমে অভিজিতের কাছে বার্তা পাঠাতেন ও হুমকি দিতেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হামলার ঘটনায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ গুরুতর জখম হন।
অভিজিৎ খুনের ঘটনায় তার বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় তিনি কোনো আসামির নাম বা কোনো কারণ উল্লেখ করেননি।
অভিজিৎ হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে।