অভিজিৎ হত্যা ; আদালতের আদেশ পেলে আলামত এফবিআই ল্যাবে পাঠানো হবে
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আদালতের আদেশ পেলে লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে সংগৃহীত আলামত ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ল্যাবে পাঠানো হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সোমবার দুপুর ১টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এফবিআই এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা মনে করছি, আলামত এফবিআই ল্যাবে পাঠালে আরও কিছু নতুন তথ্য পাওয়া যাবে।’ দুই-এক দিনের মধ্যে আদালতের কাছে এ বিষয়ে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
ফারাবী যে সহযোগীদের কথা বলেছেন তাদের কারও অবস্থান শনাক্ত বা তাদের পেশার ব্যাপারে কিছু জানা গেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ফারাবীর যে সব সহযোগী রয়েছে তাদের সঙ্গে ফারাবীর ফেইসবুকে পরিচয়। তাকে তারা ‘গুরু’ হিসেবে মানে। ফেইসবুকের বাইরে তার সঙ্গে পরিচয় নেই। সবার পেশা সম্পর্কে বলতে পারেনি, তবে তাদের অধিকাংশই ছাত্র বলে ফারাবী জানিয়েছেন।”
তিনি বলেন, ‘ফারাবীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১০ জনের তালিকা ধরে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফারাবীর ফেইসবুকের আইডি ধরে শনাক্তের যে কাজ, সেটি আমরা করছি। এ ক্ষেত্রে এফবিআইয়ের সহযোগিতা চেয়েছি। উনারা সাধ্যমতো সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।’
ফারাবী সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকলে এখন পর্যন্ত অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে ডিবির সফলতা কি জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আসামির স্বীকারোক্তি ধরেই শুধু তদন্ত হয় না। যেমন ফারাবী বলেছেন, সে যে সব স্ট্যাস্টাস দিয়েছে, এগুলোর প্রেক্ষিতে কেউ এই হত্যাকাণ্ড করেছে। যেহেতু তার সহযোগীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে, তাই তাদের সাসপেক্ট হিসেবে ধরেই তদন্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘যারা ফারাবীর ফেইসবুকের লিস্টে আছে বা কমেন্ট ও হত্যা করতে চেয়েছে এরা হত্যা করতে পারে। এ ছাড়া ফেইসবুকের বাইরের কেউ অভিজিৎকে হত্যা করতে পারে। তাদেরকেও শনাক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য যে সব আনুষঙ্গিক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, সেগুলোর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত অনেক কিছু ধরেই তদন্ত কাজ এগিয়ে নিতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ফারাবীর জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়নি। ফারাবী অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির ছেলে। ফারাবীর সম্পৃক্ততা কিংবা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা না থাকার বিষয়ে এখনই সমাপ্তি টানার সুযোগ নেই। ফারাবীর জিঞ্জাসাবাদ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এফআইবিয়ের সাজেশন নিচ্ছি এবং তথ্যের বিনিময় করছি। এ ছাড়া আমরা কি প্রক্রিয়া এগোচ্ছি তা নিয়েও নিবিড়ভাবে আলোচনা করছি।’
দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি জটিল মামলা। জটিল মামলায় তদন্তে একটু সময় লাগে। এখন পর্যন্ত একজন ছাড়া ধরা পড়েনি। তবে মামলার আনুষঙ্গিক তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে।’