নির্বাচন নয়, নির্বাচন নিয়ে কী ঘটল তাই গণতন্ত্রের মূল বিষয়
গণতন্ত্রের মূল বিষয় শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠান নয়, নির্বাচন নিয়ে কী ঘটল এবং ভবিষ্যতের পথ ঠিক করতে যথার্থ নির্বাচন হচ্ছে কিনা— এটাই মুখ্য বিষয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডব্লিউ গিবসন সোমবার এ কথা বলেন।
কমনওয়েলথ দিবস উপলক্ষে কমনওয়েলথ সোসাইটি অব বাংলাদেশ সোমবার রাজধানীর একটি সম্মেলন কেন্দ্রে ‘এ ইয়ং কমনওয়েলথ’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে। ওই সেমিনারে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডব্লিউ গিবসন এ কথা বলেন।
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ কেসিএমজি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও ওই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের গত চার বছরের রাজনৈতিক বিতর্কের মূল বিষয় ছিল নির্বাচন। কিন্তু গণতন্ত্রে নির্বাচনই একমাত্র কথা নয়, নির্বাচন নিয়ে কী ঘটল তাই মুখ্য বিষয়। ভবিষ্যতের পথ ঠিক করতেই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। এটাই নির্বাচনের অঙ্গীকার। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ অথবা ভোট দিবে কিনা— তা রাজনৈতিক নেতারাই ঠিক করে থাকে।’
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘বর্তমান সরকার ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, বহুদলীয় ও সহনশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার অঙ্গীকার করেছে। আমি এ জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সরকার যাতে তার অঙ্গীকার পূরণ করতে বাধ্য হয়, এ জন্য আমি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে উৎসাহ দেব।’
রবার্ট ডব্লিউ গিবসন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গত দুই মাসের চলমান সহিংসতা দেশটির তরুণ সমাজের ওপর ফেলেছে। পেট্রোলবোমা এবং ভয়াবহ সহিংস কর্মকাণ্ডে শিশুরা নিহতসহ অনেকেই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। এক মিলিয়নেরও বেশী এসএসসি শিক্ষার্থী যারা আগামী দিনের ভোটার, সহিংসতার কারণে তাদের পরীক্ষা বাতিল অথবা পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই সহিংসতার গভীর নিন্দা জানাই। সমাজের দুর্বল গোষ্ঠীকে শুধুমাত্র রক্ষা করাই সবগুলো রাজনৈতিক দলের নেতার বিশেষ দায়িত্ব নয়, পাশাপাশি তাদের বিকশিত করার পথ বের করার তাদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সাময়িক সময়ের ঝগড়া কখনো মেনে নেবে না।’