এ যেন পলাশীর প্রতিশোধ
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড খেলার পুরোটা সময়জুড়েই উচ্ছ্বাস চলছে; বাধভাঙা উচ্ছ্বাস যাকে বলে। তবে শেষের দিকে গিয়ে মুখে চিন্তার ভাঁজ। মাথায় হাত পর্যন্ত চলে গেছে। খেলার রূপ পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হাতে যখন ১৫ রানের পুঁজি, তখন শত্রুপক্ষের পুঁজি এক উইকেট। হাতগুলো মাথাতে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নেওয়ার যোগাড়। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে হঠাৎ শত্রুপক্ষের শেষ অস্ত্রটি খতম। মাথা থেকে হাতগুলো চলে গেল সোজা সামনে। হাত দুটো যেন বিউগলে পরিণত হল। বিউগলে সুর উঠল ‘বাংলাদেশ’।
বড়ই উচ্ছ্বাস আর আনন্দে এ জয়ধ্বনি মুহূর্তে ধ্বনিত হতে থাকে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে।
বাঘেদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা যখন মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়ছিলেন, অনেকে তাদের অ্যান্ডারসন বা ব্রড হিসেবে দেখেননি। দেখেছেন পলাশীর প্রান্তরের লর্ড ক্লাইভ ও মীরজাফরকে। অন্যদিকে মাশরাফি, সাকিবদের সিরাজউদ্দৌলা, মীরমদনদের চরিত্রে। তবে এবার আর পরাজয়ের গ্লানি নয় বরং জয়ের হুঙ্কার নিয়ে। অনেকে এটাকে পলাশীর চরম প্রতিশোধ বলে অভিহিত করলেন।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড বধের পর বিউগলগুলো এভাবেই জীবন্ত হয়ে উঠেছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা প্রান্তরে। হলের কমনরুম থেকে গেট হয়ে ছড়িয়ে পরে মহাসড়কে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান অপু তো চোখের পানিই ধরে রাখতে পারলেন না। মুখে বাঁধভাঙা হাসি, চোখে অশ্রু। মুখ দিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে পারলেন না। কিছুক্ষণের চেষ্টায় মুখ দিয়ে কয়েকটা শব্দ নিঃসৃত হল। সবগুলো শব্দই একই রূপ নিল ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।’